বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ

পাহাড়ের একটা উঁচু যায়গা থেকে নামতে হ’লে, কে তাঁকে সাহায্য করবে? যদি তাঁর অসুখই হয়, কে-ই বা তা’ হ’লে শুশ্রূষা করবে?”

 “ধন্য তুমি—তোমার মত ভৃত্য বিরল।”

 “আপনিও ত আমাদের সঙ্গেই আসছেন?”

 “হা, আপাততঃ যাচ্ছি বৈ কি। অন্ততঃ শেষ মুহূর্ত্তেও যদি ফার্গুসন্কে ফিরিয়ে আনতে পারি, তার চেষ্টা করবো। আমি জান্‌জিবার পর্য্যন্ত যাব। দেখি, যদি সেখান থেকেও ফার্গুসন্কে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি।” জো দৃঢ়স্বরে কহিল, “কিছুতেই তা পারবেন না। কাজে প্রবৃত্ত হ'বার আগেই তিনি সকল দিক ভেবে নিয়েছেন। আগে না ভেবে-চিন্তে তিনি কখনো কোনো কাজে হাত দেন না। কিন্তু একবার হাত দিলে কেউ তাঁকে ফিরাতে পারে না!”

 “আচ্ছা দেখা যাক।”

 “সে আশা ছাড়ুন। আপনাকেই শেষে সঙ্গে যেতে হ'বে। আফ্রিকা ত আপনার মত বিখ্যাত শিকারীরই উপযুক্ত স্থান। আজ শুনেছি আমাদের সকলকে ওজন হ'তে হ'বে।”

 “সে কি! আমরা বাজীর ঘোড়—সওয়ার না কি? ওজন হ'তে যাব কেন? আমি ওজন-টোজন হ’ব না।”

 “তা’ না হ’লে ত চলবে না। শুনেছি বেলুনটার জন্যই ওজন আবশ্যক।”

 “আমাদের ওজন না নিলেও বেলুন উড়বে।”