বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ
২৫

 “তা’ হ’তেই পারে না। কতটা ভার বহন করতে হ’বে, তা' ত জানা চাই। তা’ না হ'লে যে বেলুন চলবেই না।”

 “আমিও ত তাই-ই চাই!”

 “ওই দেখুন, প্রভু নিজেই এদিকে আসছেন।”

 “আসতে দাও—আমি কিছুতেই যাব না!”

 জোর সহিত যখন কেনেডির এইরূপ কথা-বার্ত্তা হইতেছিল, তখন ফাগুসন্ তথায় আসিয়া উপনীত হইলেন এবং স্থির দৃষ্টিতে একবার বন্ধুর দিকে চাহিলেন, কেনেডির নিকট সে দৃষ্টি ভাল বলিয়া বোধ হইল না। ফার্গুসন্ কহিলেন, “ডিক্, জোর সঙ্গে একবার এস। তোমাদের দু'জনের ওজনটা নিতে হ’বে।”

 “কিন্তু —”

 কেনেডির কথায় কর্ণপাত না করিয়া ফার্গুসন্ কহিলেন—“এই যে, তোমার টুপিটা এখানেই আছে—এস—দেরি হ’য়ে যাচ্ছে।” কেনেডি আর বাধা দিতে পারিলেন না, নীরবে বন্ধুর অনুগমন করিলেন। জো মনে মনে কহিল, আমি আগেই জানি, উনি কাছে এলে আর কোন আপত্তিই খাটবে না।

 মিচেলের কর্ম্মশালায় যাইয়া ডাক্তার সকলের ওজন লইতে প্রবৃত্ত হইলেন। যখন কেনেডির পালা আসিল, তখন তিনি মনে মনে বলিলেন, আচ্ছা ওজন হই না কেন—ওজন হ'লেই ত আর আমার যেতে স্বীকার করা হ’লো না। কেনেডি তুলাদণ্ডের উপর উঠিলেন। ফার্গুসন্ বলিলেন—“এক মণ সাড়ে একত্রিশ সের।”