৩ মণ ৩৮ সের গ্যাসের স্থান করা হইল। তিনি জানিতেন যে, ৫০ মণ ভার লইয়া উড়িতে হইলে বেলুনকে ৪৪৮৪৭ ঘন ফিট বাতাস সরাইয়া দিয়া, বায়ুমণ্ডলে নিজের স্থান করিতে হইবে। নতুবা উহা উড়িবেই না। ফার্গুসন্ দেখিলেন বেলুনে ৩ মণ ৩৮ সের গ্যাস পূর্ণ করিলে উহা সম্পূর্ণরূপে ফুলিয়া উঠিবে, কিন্তু যতই ঊর্দ্ধে উঠিবে, উহার উপর বায়ুমণ্ডলের চাপও ততই হ্রাস প্রাপ্ত হইবে। গ্যাসের ধর্ম্ম, বিস্তার লাভ করা। সুতরাং বাহিরের চাপ কমিয়া গেলেই ভিতরের গ্যাস ক্রমেই বিস্তৃত হইবার চেষ্টা করিবে এবং শেষে বেলুনের আবরণটাকে ছিন্ন করিয়া অনন্ত আকাশে মিলাইয়া যাইবে। ডাক্তার তাই স্থির করিলেন বেলুনের অর্দ্ধাংশ গ্যাসে পূর্ণ করিবেন।
একটা অপেক্ষা একসঙ্গে দুইটী বেলুন ব্যবহার করিতে পারিলে যে ভাল হয়, ইহা বুঝিতে ডাক্তারের বিলম্ব হইল না। সেরূপ করিতে পারিলে, অকস্মাৎ একটীতে ছিদ্র হইলে আবশ্যক মত ভার নিক্ষেপ করিয়া অপরটীর সাহায্যেও যে উড়িতে পারা যাইবে তাহাতে সন্দেহ ছিল না। কিন্তু দুইটী বেলুনকে সমভাবে পরিচালিত করিবার কোনো কৌশল তিনি আবিষ্কার করিতে পারিলেন না। অনেক চিন্তার পর একটা বৃহৎ এবং আর একটী অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র বেলুন প্রস্তুত করিবার বন্দোবস্ত করিলেন। স্থির করিলেন, বড় বেলুনের গর্ভস্থ গ্যাসের মধ্যে ছোট বেলুন ভাসাইয়া রাখিবেন। উভয় বেলুনের মধ্যে সংযোগ—স্থাপনের জন্য একটা মুখ রাখিবার