“ভয় নাই ভায়া—ভয় নাই। বেলুনটা ত আর বাস্তবিক বাতাসে নড়ে না—চারিদিকের বাতাসই বেগে অগ্রসর হয়, আর সেই সঙ্গে সঙ্গে স্রোতের মুখে কুটার মত বেলুনও ভেসে চলে। বেলুন যখন চলে, তখন বাতি জ্বাল্লেই দেখা যায় যে, দীপ-শিখা কাঁপে না। আমরা অবশ্য অত দ্রুত যাব না। আমাদের দু'মাসের খাবার সঙ্গে আছে। তা'ছাড়া যখনই দরকার হ’বে, তখনই বন্ধু কেনেডি কিছু শিকার ধরে' আনবেনই।”
জাহাজের ছোট কর্ম্মচারী কহিলেন, “মিঃ কেনেডি, আপনার সৌভাগ্য দেখে হিংসা হচ্ছে। এ ভ্রমণে দেখছি গৌরব এবং শিকারের আনন্দ দুই-ই আপনার লাভ হ’বে।” বাধা দিয়া কেনেডি কহিলেন, “আপনাদের অভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আমি তা' গ্রহণ করতে পারি না।” নাবিকগণ সমস্বরে কহিল। “কেন? কেন? আপনি কি তবে যাচ্ছেন না?”
“না।”
“ডাক্তার ফার্গুসনের সঙ্গে যাবেন না?”
“আমি যে নিজে যাব না শুধু তাই নয়—যদি পারি তাঁকেও যেতে দিব না।”
সকলের বিস্ময়-বিস্ফারিত চক্ষু ডাক্তারের উপর নিপতিত হইল। তিনি কহিলেন, “ও’র কথা শুনবেন না। ভায়া মনে মনে বেশ জানেন যে, আমার সঙ্গে নিশ্চয়ই যাবেন।”
কেনেডি গম্ভীর স্বরে কহিলেন, “আমি শপথ করে বলতে পারি—”