বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম পরিচ্ছেদ
৩৩

 বাধা দিয়া ফার্গুসন বলিলেন, “বন্ধু, শপথ করা ভাল নয়। তোমার নিজের ওজন নিয়েছি, বন্দুক-গুলি-বারুদ—তোমার সব ওজন করে' নিয়েছি। বেলুনও সেই হিসাবে প্রস্তুত হয়েছে। এখন আর যাব না বললে চলবে না।”

 কেনেডি কিং-কর্ত্তব্য-বিমূঢ় হইয়া নীরব রহিলেন।

* * *

 জো ইতিমধ্যে জাহাজের নাবিকদিগের নিকট বেশ সুপরিচিত হইয়াছিল। সাধারণ নারিকগণ অতিমাত্র বিস্মিত হইয়া জোর বক্তৃতা শুনিত। একদিন সে কহিল “আজ এঁরা বেলুনে যেয়ে সুবিধা-অসুবিধাটা বুঝে নিচ্ছেন। কিন্তু একবার বেলুনে চড়লে হয়, তা’ হ’লে আর ছাড়তে ইচ্ছা হ’বে না। কিছুদিন পরই তোমরা শুনতে পাবে যে, আমরা বেলুন নিয়ে ঠিক সোজা উপরে উঠে চলে’ যাচ্ছি।”

 “তা’ হ’লে যে আপনারা একেবারে চন্দ্রে যেয়ে পড়বেন।” জো কহিল, “চন্দ্র ত একটা ছোট কথা। যে কেউ সেখানে যেতে পারে। শুনেছি সেখানে বাতাসও নাই—জলও নাই। আমরা যখন যাব তখন বোতলে জল আর বাতাস বেশী করে’ না নিলে সেখানে চলবে না।”

 জিন্-মদ্যের ভক্ত একজন নাবিক কহিল “জল নাই বা থাকলো—যতদিন জিন্ আছে ততদিন ভাবনা কি?”

 “সেখানে যে জিন্ও নাই।”

 “আমাদের কপালে তা' হ'লে চন্দ্রলোক-দর্শন লেখা নাই।