“কেন? তোমার বিশ্বাস হচ্ছে না? আমাদের বার বছরে তাদের এক বছর। এখানে তুমি অত বড় দেখাচ্ছ, কিন্তু জুপিটারে গেলে এখনো তোমাকে অনেকদিন মা’র দুধ খেতে হ’বে। আর ওই যে তুমি ওকে দেখছো—এই পৃথিবীর পঞ্চাশ বছরের বুড়ো—সেখানে ওর বয়স কতই ধরবে? এই মনে কর না, সেখানে উনি ৩।৪ বছরের খোকা বৈত ন’ন।”
“আপনি আমাদের বোকা বোঝাচ্ছেন না ত?”
“আরে তাও কি হয়। শুধু এই ছোট-খাটো পৃথিবীটার খবর রাখলে অমনি ঠেকে বটে। একবার জুপিটারে চল না, তা’ হ’লেই দেখতে পাবে। কিন্তু সেখানে যেতে হ’লে বেশভূষা ভাল চাই। জুপিটারের লোকদের কিন্তু সে দিকে বড় তীব্র দৃষ্টি।”
নাবিকগণ হাস্য করিতে লাগিল দেখিয়া জো আরো গম্ভীর ভাবে বলিতে আরম্ভ করিল—
“তোমরা বুঝি নেপচুনের খবর রাখ না? উঃ সেখানে নাবিকদের কত আদর। আহা নৌবিদ্যার মর্ম্ম নেপচুনের লোকেই জানে। এই দেখ না, মার্সে কেবল সৈনিকদিগেরই সম্মান। সে সম্মান এতই বেশী যে, অন্যের পক্ষে অসহ্য হ’য়ে উঠে। মার্কারিতে ত জানি চোর-ডাকাতের উপদ্রব বড় বেশী। সেখানে বণিকের অভাব নাই—লোকেরও অভাব নাই। চোরে আর বণিকে সে দেশে বড় তফাৎ দেখা যায় না।”