“আমি করেছি।”
অধ্যক্ষ সবিস্ময়ে কহিলেন, “আপনি করেছেন?”
“যদি না করতে পারতেম, তা’ হ’লে বেলুনে চড়ে’ আফ্রিকা অতিক্রম করতে সাহসী হতেম না।”
“ইংলণ্ডে ত আপনি এ কথা প্রকাশ করেন নাই।”
“না, তা করি নাই বটে। দশ জনে এ কথাটা নিয়ে-প্রচণ্ড উত্তাপ সৃষ্টি করার সাধারণ কৌশল মাত্র।”
“এ পর্য্যন্ত বুঝলেম, তারপর?”
“বেলুনের নীচের মুখ এমন করে’ বন্ধ করে দিয়েছি যে, বেলুনের মধ্যে এক বিন্দুও বাতাস যেতে পারবে না। বেলুনের মধ্যে দু’টো নল বসানো আছে। একটা নলের মুখ বেলুন-গর্ভের হাইড্রোজেনের উপরাংশের মধ্যে থাকবে, আর একটা নলের নিম্নাংশে। বেলুন যতই কেন না নড়ুক, গাটাপার্চ্চা দিয়ে যোড়া থাক্বে বলে কিছুতেই নলে আঘাত লাগবে না। এই দু’টো নল বরাবর বেলুন থেকে নেমে এসে বাহিরে একটা গোলাকার বাক্সর উপরকার ঢাকনার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। এটা হ’লো গ্যাসের উত্তাপ দিবার যন্ত্র। সেই গোল বাক্সটা বেশ শক্ত করে’ দোলনার সঙ্গে বাঁধা থাকবে।”
“ঠিক বুঝতে পারছি না—গ্যাসে তাপ দিতে হ’বে কেমন করে’?”
“বেলুনের উপরাংশ থেকে যে নল নেমে আসবে সেটা এই গোলাকার বাক্সের মধ্যে কুণ্ডলাকারে ঘুরতে ঘুরতে বাক্সের