বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ
৩৯

তলদেশে এসে উপস্থিত হ’বে। শেষে প্লাটিনাম ধাতুর আবরণের ভিতর দিয়া বাহিরে আসবে। এই নলের মধ্যে যে হাইড্রোজেন গ্যাস থাকবে, তা’তে উত্তাপ দিলেই, গ্যাস লঘু হয়ে’ উপরে উঠবে। গ্যাসের ধর্ম্ম এই যে, উত্তাপ দিলেই, গ্যাস লঘু হয় এবং বিস্তার লাভ করে। নলের মধ্যের গ্যাস লঘু হওয়া মাত্রই বেলুনের উপর দিকে উঠে যাবে, আর সঙ্গে সঙ্গে বেলুনের অপেক্ষাও শীতল, কাজেই ভারি, গ্যাস নিচে নেমে আসবে। মুখের কাছে এলেই তাপ লেগে উপরে উঠে যাবে। অমনি আবার শীতল গ্যাস নেমে আসবে।”

 “তারপর—তারপর? এখন দেখছি এটা কত সহজ!”

 “গ্যাসের ধর্ম্ম হচ্ছে এই যে, এক ডিগ্রী উত্তাপ পেলে  /৪৮০ গুণ বিস্তার লাভ করে। যদি আমি ১৮ ডিগ্রী তাপ দি, তা’ হ’লে বেলুনের গ্যাস  ১৮/৪৮০ গুণ বিস্তার লাভ করবে অর্থাৎ ১৬৭৪ ঘন ফিট বাড়বে। কাজেই বেলুনও ফুলে উঠে ততটা বাতাসের স্থান জুড়ে’ বসবে— সুতরাং উপরে উঠবে।”

 “আপনাকে সহস্র ধন্যবাদ—আপনি বুদ্ধিবলে একটা আলোচনা করে—”

 “সেটা আমার ইচ্ছা ছিল না। আমি অতি গোপনে এ সব পরীক্ষা করে’ দেখেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে, আমি কৃতকার্য্য হ’তে পারবো।”

 শ্রোতৃমণ্ডলী বিশেষ উৎসুক হইয়া ডাক্তারের মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। তিনি ধীরভাবে বলিতে লাগিলেন—