বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০
বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ

 “অনেকদিন পর্য্যন্তই লোকে চেষ্টা করছে যে, কি করলে গ্যাস নষ্ট না করে’ ভার ফেলে না দিয়ে বেলুনকে ইচ্ছামত নামাতে কি তুলতে পারা যায়।”

 “এর আগেও তবে এ চেষ্টা হয়েছে?”

 “হাঁ হয়েছে বৈ কি! একজন ফরাসী এবং একজন বেলজিয়মবাসী চেষ্টা করে’ বিফল—মনোরথ হয়েছিলেন। আমি তাঁদের পথ ছেড়ে অন্য পথ ধরেছি। ভারের ব্যবহার আমি অনেকটা কমিয়ে দিয়েছি। সামান্য কিছু থাকবে বটে, কিন্তু বিশেষ আবশ্যক না হ’লে ফেলতে হবে না।”

 “এ বড় বিস্ময়কর আবিষ্কার।”

 “এতে কিছুমাত্র বিস্ময়ের কারণ নাই। বেলুনে যে গ্যাস থাকবে, যদি আমি ইচ্ছামত সেই গ্যাসকে সঙ্কুচিত কি বিস্তৃত করতে পারি তা’ হ’লেই হ’বে। গ্যাস যখন সঙ্কুচিত হ’বে, বেলুন তখন ভারি হয়ে উঠবে আর অমনি নামবে। আবার বিস্তৃত হ’লেই বেলুন উপরে উঠে যাবে।”

 “তাই ত—এর মধ্যে কঠিন ত কিছু দেখছি না। আচ্ছা, কি করে’ করবেন?”

 “আপনারা বোধ হয় দেখেছেন যে, আমার সঙ্গে পাঁচটা লোহার বাক্স আছে। তার একটাতে থাকবে জল। জলের মধ্যে বৈদ্যুতিক প্রবাহ চালিয়ে দিলেই হাইড্রোজেন আর তাক্সিজেন (অম্লজান ও যবক্ষারযান) গ্যাস প্রস্তুত হবে। যাতে সমানে সমানে গ্যাস হয় সে জন্য জলের সঙ্গে খানিকটা সল্‌ফিউরিক য়্যাসিড মিশিয়ে দিব।”