বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ
৪১

 “তার পর?”

 “প্রথম বাক্সে গ্যাস প্রস্তুত হ’বে আর নল দিয়ে দু’টো স্বতন্ত্র বাক্সে জমা হ’বে। এই তিনটা বাক্সের উপর আর একটা বাক্স থাকবে, সেখানে গ্যাস দু’টো ভিন্ন ভিন্ন নলের মুখে ফেলিয়ে দিয়ে মিশিয়ে নেবো।”

 “এটা আর কিছুই নয় অক্সিজেন আর হাইড্রোজেন মিশিয়ে একটা অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন।”

 “এতে যোগ্যতার কিছুই নাই। শীতের দিনে ইংলণ্ডের কক্ষগুলি যে উপায়ে গরম করা হয়, আমি সেই উপায় অৱলম্বন করেছি মাত্র। মনে করুন আমি যদি বেলুনের গ্যাসে ১৮০ ডিগ্রী উত্তাপ দিতে পারি, তা’ হ’লে গ্যাসের বিস্তার হ’বে  ১৮০/৪৮০ গুণ, সুতরাং সেই অতি বিস্তৃত গ্যাস বেলুনকে ফুলিয়ে তুলে’ ১৬৭৪০ ঘন ফুট বাতাসের স্থান অধিকার করবে। তার ফলে এই হ’বে যে, বেলুন থেকে ২০ মণ ভার ফেলে দিলে বেলুন যত দ্রুত উপরে উঠতো, তত দ্রুত উঠবে। আমার বেলুনে যে পরিমাণ গ্যাস ধরে, আমি তার অর্দ্ধেক সঙ্গে নিয়ে যাব। কাজেই বেলুন উপরে উঠতে পারবে না, শুধু বাতাসের মধ্যে ভেসে থাকবে। আমি যতই উত্তাপ দিব গ্যাসও ততই বিস্তৃত হ’বে, বেলুন ততই উপরে উঠবে। আবার যখনই নামতে ইচ্ছা হ’বে, তাপ কমিয়ে দিলেই গ্যাস শীতল হ’য়ে কুঞ্চিত হ’য়ে যাবে, বেলুনও নেমে পড়বে।”