সপ্তম পরিচ্ছেদ
যাত্রা
রেজলিউট জাহাজ জান্জিবারের বন্দরে আসিয়া নোঙ্গর করিল। হস্তিদন্ত, গোয়ানো, গাম্ প্রভৃতি দ্রব্যের বাণিজ্যের জন্য জান্জিবার প্রাচ্য ভূখণ্ডে পরিচিত। আফ্রিকার আন্তর্জ্জাতিক সমরে যে সকল লোক বন্দীকৃত হয়, তাহারা জান্জিবারের বিপণিতে কৃতদাসরূপে বিক্রীত হইয়া থাকে।
জান্জিবারের ইংরাজ কন্সাল সসম্ভ্রমে বেলুনযাত্রীদিগকে স্বগৃহে অতিথি হইবার নিমিত্ত নিমন্ত্রণ করিলেন। তাঁহাদিগের জিনিষপত্র ধীরে ধীরে নামানো হইতে লাগিল। এদিকে গৃহে গৃহে প্রচারিত হইযা গেল যে, একজন খ্রীষ্টান আসিয়া শূন্যে উড়িতে চাহিতেছে। শুনিবামাত্র দ্বীপবাসিগণ চঞ্চল হইয়া উঠিল। তাহারা মনে করিল এই নবাগত খ্রীষ্টান নিশ্চয়ই চন্দ্র এবং সূর্য্য দেবতার অকল্যাণ করিবার জন্যই আকাশ-ভ্রমণে যাইতেছে। তাহাদিগের অন্ধ ধর্ম্ম-বিশ্বাসে আঘাত লাগিল, কারণ সূর্য্য এবং চন্দ্রই তাহাদিগের উপাস্য দেবতা। কাফ্রিরা স্থির করিল যেরূপেই হউক বাধা দিবে এবং বলপ্রয়োগে এই অভিযান বন্ধ করিবে। ইংরাজ কন্সাল চিন্তিত হইলেন।