বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম পরিচ্ছেদ
8৩

 জাহাজের অধ্যক্ষ কহিলেন “কিছুতেই আমরা স্থান ত্যাগ করবো না, কাফ্রির এতদূর ধৃষ্টতা! দেখা যা’ক: কি হয়। আবশ্যক হ’লে আমরা লড়াই করবো।”

 ডাক্তার বলিলেন, “যুদ্ধ করলে যে আমাদেরই জয় হ’বে তা’তে আর সন্দেহ কি? কিন্তু হঠাৎ যদি বেলুনটা আক্রান্ত হয় তা’ হ’লেই ত সবর্বনাশ ঘটবে। এতদূর এসেও আফ্রিকা-দর্শন ঘটবে না!”

 কিছুক্ষণ বাদানুবাদের পর স্থির হইল যে, পূরোবর্ত্তী দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে কোন একটাতে বেলুন নামাইয়া পাহারা দিতে হইবে। জাহাজের অধ্যক্ষ নোঙ্গর তুলিয়া যে দ্বীপাভিমুখে যাত্রা করিলেন তাহার নাম কুম্বেনী। ফার্গুসন্ অতি সতর্কতার সহিত বেলুনটি নামাইয়া উহাতে গ্যাস পূর্ণ করিবার ব্যবস্থা করিলেন।

 কাফ্রিগণ দূর হইতে চীৎকার করিতে লাগিল, কেহ বা অঙ্গভঙ্গী করিতে লাগিল। কেহ কেহ মন্ত্র পাঠ করিয়া বজ্রকে আহ্বান করিল। কাফ্রি যাদুকরগণ কত রকম কলকৌশল যে অবলম্বন করিল, তাহার ইয়ত্তা নাই; কিন্তু তাহাতেও যখন বেলুনের কোনো অনিষ্ট ঘটিল না, বরং উহা গ্যাসে পূর্ণ হইয়া ধীরে ধীরে দুলিতে লাগিল, তখন তাহারা আরও উত্তেজিত হইয়া উঠিল ।

 বিদায়ের সময় ক্রমেই নিকট হইতেছিল। সকলেই হৃদয় মধ্যে বেদনা বোধ করিতে লাগিলেন। সকলেই ভাবিলেন অসভ্য