পাতা:বেশ্যা গাইড - গিরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ২৬ )

প্রাপ্ত হাস্পাতালে ফিরিয়া পাঠান যাইবে। এবং কারাগার হইতে মুক্ত হইবার সময়ে তাহার স্পর্শাক্রামক রোগ ছিল না যদি কারাগারের চিকিৎসক এই মর্ম্মের সার্টিফিকট লিখিয়া না দেন তবে তাহাকে হাস্পাতালে থাকিতে হইবে। ঐ সটিফিকটের প্রমাণ করিবার ভার ঐ স্ত্রীর প্রতি বর্ত্তিবে ইতি।

ঘরে থাকিয়া বেশ্যাদের চিকিৎসা পাইবার বিধি।

 রেজিষ্টরী বারস্ত্রীদের স্বগৃহে চিকিৎসা করিবার বিধি করণের ক্ষমতার কথা।

 ১৭। স্থানীয় গবর্ণমেণ্ট যে সারজন কি অন্য ব্যক্তিদিগকে সময়ে২ নিযুক্ত করেন তাঁহারদিগকে এই ক্ষমতা দিতে পারিবেন, যে এই আইনমতে রেজিষ্টরী হওয়া যে স্ত্রী চৌদ্দ ধারামতে নোটিস না পায় তাঁহারা চিকিৎসার জন্যে অমুক সময়ে ও স্থানে উপস্থিত হইবার অনুজ্ঞাপত্র দেন এক্সং অবশ্যক হইলে তাহার যদ্রূপ ঔষধ সেবন করিতে হইবে ইহাও নিরূপণ করেন।

 যদি তদ্রূপ কোন স্ত্রী তদ্রূপ বিধি কি আজ্ঞা অমান্য করে, কিম্বা তদনুসারে কর্ম্ম না করে তবে মাজিষ্ট্রেট সাহেবের সম্মুখে সপ্রমাণ হইলে, তাহার এক মাসের অনধিক কারাদণ্ড কিম্বা এক শত টাকা পর্য্যন্ত অর্থদণ্ড কিম্বা ঐ দুই দণ্ড হইবে ইতি।