পাতা:বেশ্যা গাইড - গিরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৩৪ )

ও তাহাদের মনের ভাবের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখিয়া পরীক্ষা কার্য্য চালান হইবে আরো যে শুভ বন্দোবস্ত করা গিয়াছে তাহাতে তাহাদিগের নিজের বিশেষ উপকার হইবে কেননা ঐ সকল রোগ সত্বরে প্রকাশ পাইলে সত্বরে আরগ্যে হইবে তাহাতে তাহাদের নিজের কোন শুভ ব্যতীত অশুভ ঘটিবে না।

 ইনিস্পেক্টরেরা স্পষ্ট করিয়া আপনাদের অধীন কর্ম্মচারিগণকে কহিয়া দিবেন যে২ সকল স্ত্রীলোক নিজে থানায় রেজিষ্টারির জন্যে হাজির হইবে তাহাদিগকে অনাবশ্যক কোন কটীন ব্যবহার করণের দোষী যে কোন পুলিষ কর্ম্মচারি হইবে এমত প্রমাণ পাইলে কিম্বা কিছু পুরষ্কার চাওয়া কি লওয়া সন্দেহ করিবার কারণ থাকিলে তাহাদিগকে কমিশ্যনারের কঠিনরূপে দণ্ড করিবেন।

 কমিশ্যনারের বিশ্বাস এই যে আপন২ থানার এলাকার মধ্যে যে২ বেশ্যা সামান্য বেশ্যাবৃত্তি চালায় তাহাদের রীতিমত রেজিস্টরি হওয়া এবং সময়ে২ যে রূপ পরিক্ষা করিবার আইনে আদেশ আছে তাহা সম্পূর্ণ হওয়া ইনিস্পেক্টর সতর্ক হইয়া দেখিবেন।

 সকলের বুঝা আবিশ্যক যে যাহারা প্রকাশ্য রূপে কিছু মাত্র পুরুষের ভেদাভেদ না করিয়া