পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বৈকুণ্ঠের খাতা।

আনন্দ দিয়েছেন এর তুলনায় - ওর নাম কি - টাকার তোড়া -

তিনকড়ির প্রবেশ।

 তিন। (জনান্তিকে) খুসি হয়ে দিতে চাচ্চে, নে না -

 কেদার। সব মাটি করলে লক্ষ্মীছাড়া বাঁদর কোথাকার -

 বৈকুণ্ঠ। এ ছেলেটি কে?

 কেদার। দেনার সঙ্গে যেমন সুদ - ওর নাম কি - উনি আমার তেমনি! নিজের দায়ই সামলাতে পারিনে - তার উপর আবার ভগবান - কি বলে - ঢাকের উপর ঢেঁকি চড়িয়েছেন।

 তিন। উনি যদি হণ গোরু আমি হই ওঁড় ল্যাজ। যখন চরে খান্‌ আমি পিঠের মাছি তাড়াই, আবার যখন চাষার হাতে লাঞ্ছনা খেতে হয় তখন মলাটা আমার উপর দিয়েই যায়।

 বৈকুণ্ঠ। হাহাহাহাঃ! এ ছোকরাটা বেড়ে পেয়েছেন! এর যে খুব চোখেমুখে কথা! — দেখুন বিলম্ব হয়ে গেছে, আজ আমার এখানেই আহারাদি হোক্‌ না!

 কেদার। না, না, সে আপনার অসুবিধা করে কাজ নেই!

 তিনকড়ি। বিলক্ষণ! শুভকার্য্যে বাধা দিতে নেই-!