পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম দৃশ্য।
১৩

 ঈশান। পায়ে ধরি বাবু—থেতে চল -রা। কোরো

 বৈকুণ্ঠ। যাঃ বেরো তুই —বিরক্ত করিস্ নে!

 ঈশান। দাও আমার কান মলে দাও—বাবু—

অবিনাশের প্রবেশ।

 অবিনাশ। কি দাদা! এখনে বসে বসে লিখচ বুঝি?

 বৈকুণ্ঠ। না না কিচ্ছু না—এখন লিখ্‌তে যাব কেন?—শনের সঙ্গে বসে বসে গল্প করচি।—ঈশেন তুই যা, আমি যাচ্চি। (ঈশানের প্রস্থান)

 অবা। দাদা মাইনের টাকাগুলো এনেছি—এই কুড়ি আর পাঁচ কেতা নোট—আর এই পাঁচশো টাকার এক—!

 বৈকুণ্ঠ। ঐ পাঁচশো টাকার খানা তুমিই রাখনা অবু!

 অবি। কেন দাদা!

 বৈকুণ্ঠ। যদি কোন আবশ্যক হয়—খরচ পত্র—

 অবিনাশ। আবশ্যক হলে চেয়ে নেব—

 বৈকুণ্ঠ। তবে এইখানে রাখ। তোমার হাতে টাকা ও ত থাকে না। যে আসে তাকেই বিশ্বাস করে বস! রাখ‍্তে হলে লোক চিন্‌তে হয় ভাই।

 অবিনাশ। (হাসিয়া) সেই জন্যেই ত তোমার হাতে নিশ্চিত্ত হই দাদা!