পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম দৃশ্য।
১৯

আমার ঘরে আসেন সে আমার সৌভাগা! তুই আমার সামনে তাঁকে অপমান করিস্!

 কেদার। আহা, রাগ করবেন না, বৈকুণ্ঠবাবু—

 অবিনাশ। দাদা মিথ্যা রাগ করচ কেন? কেদারের আবার অপমান কিসের?

 বৈকণ্ঠ। আবার! তোর সঙ্গে আর আমি কথা কবনা।

 অবিনাশ। মাপ কর দাদা! (বৈকুণ্ঠ নিরুত্তর) মাপ কর আমার অপরাধ হয়েছে! (নিরুত্তর) দাদা রাগ করে থেকো না—

 বৈকুণ্ঠ। তবে শোন্! কেদার বাবুর একটি বিবাহযোগ্যা পরমাসুন্দরী বয়ঃপ্রাপ্ত শ্যালী আছে, তোরও ত বিবাহযোগ্য বয়স হয়েছে— এখন

 কেদার। যোগ্যং যোগ্যেন যোজয়েৎ।

 বৈকুণ্ঠ। ঠিক বলেছেন, আমার মনের কথাটি বলেছেন।

 কেদার। আমারও ঠিক ঐ মনের কথা!

 অবিনাশ। কিন্তু দাদা, আমার মনের কথা একটু স্বতন্ত্র! আমার বিবাহ করবার ইচ্ছে নেই—

 কেদার। অবিনাশ তুমি হাসালে! বিবাহ করবার পূর্ব্বেই অনিচ্ছে! ওর নাম কি, করবার পরে যদি হত ত মানে পাওয়া যেত!

 বৈকুণ্ঠ। মেয়েটি ত সুন্দরী—

 অবিনাশ। তাকে দেখেচ না কি?