পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় দৃশ্য।
২৫

 অবি। আঃ তোমার ঠাট্টা রাখ! শোননা কেদার — ঐ সঙ্গে একটা চিঠিও দিই না!

 কেদার। সে আর বেশি কথা কি!

 অবিনাশ। তবে চট্ করে লিখে দিই। (লিখিতে প্রবৃত্ত)

 কেদার। আংটিটা ত লাভ করা গেল। কিন্তু দুই ভাইয়ের মাঝখানে পড়ে মেহন্নৎটাও বড্ড বেশি হচ্চে। এখন, বিবাহটা শীঘ্র চুকে গেলে একটু জিরোবার সময় সময় পাওয়া যায়।

বৈকুণ্ঠের প্রবেশ।

 বৈকুণ্ঠ। (উঁকি মারিয়া স্বগত) এই যে ভায়া আমার কেদার বাবুকে নিয়ে পড়েছে! কনে দেখে ইস্তিক ওঁকে আর এক মুহূর্ত্ত ছাড়ে না। বাতিকগ্রস্ত মানুষ কি না, সকল বিষয়েই বাড়াবাড়ি! কেদার বাবু বোধ হয় একে বারে অস্থির হয়ে উঠেছেন! বেচারাকে আমি উদ্ধার না করলে উপায় নেই। (ঘরে ঢুকিয়া) এই যে কেদার বাবু আমার সেই নতুন পরিচ্ছেদটি শোনাবার জন্যে আপনাকে খুঁজে বেড়াচ্চি।

 কেদার। আর ত বাচিনে!—

 অবি। (চিঠি ঢাকিয়া) দাদা, কেদার বাবুর সঙ্গে একটা কাজের কথা ছিল।

 বৈকুণ্ঠ। কাজের ত সীমা নেই। ছোঁড়াটার মাথা