পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
বৈকুণ্ঠের খাতা।

একেবারে ঘুরে গেছে কিন্তু কেদার বাবুকে না পেলেত আমার চল্‌চে না!

ভৃত্যের প্রবেশ।

 ভৃত্য। বাবু, মাণিকতলা থেকে মালি এসেছে।

 অবিনাশ। এখন যেতে বলে দে! (ভৃত্যের প্রস্থান)

 বৈকুণ্ঠ। যাওনা, একবার শুনেই এস না! ততক্ষণ আমি কেদার বাবুর কাছে আছি—

 কেদার। আমার জন্যে ব্যস্ত হবেন না—ওর নাম কি আমি আজ তবে—

 অবিনাশ। না কেদার, একট বোস।

 বৈকুণ্ঠ। না, না, আপনি বসুন! দেখ অবিনাশ গাছপালা সম্বন্ধে তোমার যে আলোচনাটা ছিল সেটা অবহেলা কোরো না! সেটা বড় স্বাস্থ্যকর, বড়ই আনন্দজনক।

 অবিনাশ। কিছু অবহেলা করবনা দাদা— কিন্তু এখন একটা বড় দরকারী কাজ আছে।

 বৈকুণ্ঠ। আচ্ছা, তাহলে তোমরা একটু বোস। ভালমানুষ পেয়ে বেচারা কেদার বাবুকে ভারি মুষ্কিলে ফেলেছে— একটু বিবেচনা নেই— বয়সের ধর্ম্ম!

তিনকড়ির প্রবেশ।

 কেদার। আবার এখানে কি কর্ত্তে এলি?