পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
বৈকুণ্ঠের খাতা।

 তিনকড়ি। ও বাবা! এটাতে যদি দোষই না থাক্‌বে ত খামকা আমাকে ভাব্‌তে বলে কেন? এত বড় মুষ্কিলেই পড়া গেল দেখ্‌চি!— দোষ কি জানেন অবিনাশ বাবু, ও ভাব্‌তে গেলেই দোষ না ভাব্‌লে কিছুতেই দোষ নেই আমি ত এই বুঝি!

 অবি। ওঃ বুঝেছি— তুমি বল্‌চ, আগে থাকতে ঐ প্রেয়সী সম্বোধনটায় লোকে কিছু মনে ভাব্‌তে পারে—

 তিন। বাঁচা গেল! হাঁ তাই বটে! কিন্তু কি জানেন আপনাআপনির মধ্যে না হয় তাকে প্রেয়সীই বল্লেন! তা কি আর অন্য কেউ বলে না! ঐটেই লিখে ফেলুন্!

 অবি। কাজ নেই গোড়ায় যেটা ছিল সেইটেই—

 তিনকড়ি। সেইটেইত আমার পছন্দ

 অবিনাশ। কিন্তু একটু ভেবে দেখ না, ওটা যেন—

 তিনকড়ি। ও বাবা! আবার ভাব্‌তে বলে! অবিনাশ বাবু, শিশুকাল থেকে আমিও কারো জন্যে ভাবি নি, আমার জন্যেও কেউ ভাবে নি, ওটা আমার আর অভ্যাস হলই না! এরকম আরো আমার অনেক গুলি শিক্ষার দোষ আছে—

 অবিনাশ। আঃ তিনকড়ি, তুমি একটু থাম্‌লে বাঁচি! নিজের কথা নিয়েই কেবল বক্‌বক্ করে মরচ, আমাকে একটু ভাব্‌তে দাও দেখি!

 তিনকড়ি। আপনি ভাবুন্ না। আমাকে ভাবতে