পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
বৈকুণ্ঠের খাতা।

পাতালে পাঠালি—সেখান থেকেও আমি ফাঁকি দিয়ে ফিরেছি—কিছুতেই মলেম না!

 কেদার। তাইতরে দিব্যি টিঁকে আছিস্ যে!

 তিনকড়ি। ভাগ্যে দাদা একদিনও দেখ্‌তে যাও নি—

 কেদার। কেনরে!

 তিনকড়ি। যম বেটা ঠাউরালে এ ছোঁড়ার দুনিয়ায় কেউ নেই—নেহাৎ তাচ্ছিল্য করে নিলে না। ভাই তোকে বল্‌ব কি, এই তিনকড়ের ভিতরে কতটা পদার্থ আছে সেইটে দেখবার জন্যে মেডিকাল কালেজের ছোকরাগুলো সব ছুরি উঁচিয়ে বসে ছিল—দেখে আমার অহঙ্কার হত! যাই হোক্ দাদা তুমি ত এখানে দিব্যি জমিয়ে বসেচ।

 কেদার। যা, যা, মেলা বকিস্‌নে। এখন এ আমার আত্মীয় বাড়ি তা জানিস্?

 তিনকড়ি। সমস্তই জানি— আমার অগোচর কিছুই নেই। কিন্তু বুড়ো বৈকুণ্ঠকে দেখ্‌চিনে যে! তাকে বুঝি ঠেলে দিয়েছিস্? ঐটে তোর দোষ! কাজ ফুরলেই—

 কেদার। তিনকড়ে! ফের! কানমলা খাবি!

 তিনকড়ি। তা দে মলে। কিন্তু সত্যি কথা বল্‌তে হয়, বৈকুণ্ঠকে যদি তুই ফাঁকি দিস্ তা হলে অধর্ম্ম হবে— আমার সঙ্গে যা করিস্ সে আলাদা—

 কেদার। ইস্ এত ধর্ম্ম শিখে এলি কোথা!

 তিনকড়ি। তা যা বলিস্ ভাই— যদিচ তুমি আমি এত