পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় দৃশ্য।
৫১

 বৈকুণ্ঠ। হাঁ ছেড়ে দিয়েছি।

 তিনকড়ি। আঃ বাঁচ্‌লেম! তা হলে ছুটি— আমি যেতে পারি?

 বৈকুণ্ঠ। কোথায় যাবে বাপু?

 তিনকড়ি। অলক্ষ্মী যেখানে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ান্! ভেবেছিলুম মেয়াদ ফুরোয়নি—খাতা এখনো অনেকখানি বাকি আছে—শুনে যেতে হবে।— তা হলে প্রণাম হই।

 বৈকুণ্ঠ। এস বাবা, ঈশ্বর তোমার ভাল করুন!

 তিনকড়ি। উঁহুঁ! একটা কি গোল হয়েছে ঠিক বুঝ্‌তে পারচিনে! ভাই ঈশেন, এতদিন পরে দেখা, তুমিও ত আমাকে মার মার শব্দে খেদিয়ে এলে না— তোমার জন্যে ভাবনা হচ্চে!

অবিনাশের প্রবেশ।

 অবিনাশ। দাদা, কোথা থেকে তুমি যত সব লোক জুটিয়েছ—বাড়ির মধ্যে বাইরে কোথাও ত আর টিঁকতে দিলে না!

 বৈকুণ্ঠ। তারা কি আমার লোক অবু? তোমারই ত সব—

 অবিনাশ। আমার কে! আমি তাদের চিনিনে! কেদারের সব আত্মীয়— তুমিই ত তাদের স্থান দিয়েছ! সেই জন্যেই ত আমি তাদের কিছু বল্‌তে পারিনে। তা,