পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
বৈকুণ্ঠের খাতা।

তুমি যদি পার ত তাদের সাম্‌লাও দাদা— আমি বাড়ি ছেড়ে চল্লুম।

 বৈকুণ্ঠ। আমিই ত যাব মনে করছিলুম—

 তিনকড়ি। তার চেয়ে তাঁরা গেলেই ত ভাল হয়। আপনারা দুজনেই গেলে তাঁদের আদর অভ্যর্থনা করবে কে?

 অবিনাশ। বাড়ির মধ্যে একটা কে বুড়ি এসেছে, সে ত ঝগড়া করে একটাও দাসী টিঁক্‌তে দিলে না—তাও সয়েছিলুম—কিন্তু আজ আমি স্বচক্ষে দেখ্‌লুম, সে নীরুর গায়ে হাত তুল্‌লে— আর সহ্য হল না—তাকে এইমাত্র গঙ্গা পার করে দিয়ে আসচি!

 ঈশান। বেঁচে থাক ছোট বাবু— বেঁচে থাক!

 বৈকুণ্ঠ। অবিনাশ, তিনি ছোট বৌমার আত্মীয়া হন্—তাঁকে—

 তিনকড়ি। কেউ না, কেউ না, ও বুড়ি কেদারদার পিসি। ওকে বিবাহ করে কেদারের পিসে আর বাঁচতে পারলে না— বিধবা হয়ে ভাইয়ের বাড়ি আস্‌তে ভাইও মরে’ বাঁচ্‌ল, এখন কেদারদা নিজের প্রাণ রক্ষে করতে ওকে তোমাদের এখানে চালান করেছে!

 অবিনাশ। দাদা, তোমার এ বইগুলো মাটিতে নাবাচ্চ কেন? তোমার ডেক্‌সো গেল কোথায়?

 ঈশান। এ ঘরে যে বাবুটি থাকেন বই থাক্‌লে তাঁর থাক্‌বার অসুবিধে হয়, বড় বাবুকে তিনি লুটিস্ দিয়েছেন—