পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s বৈকুণ্ঠের উইল অনেক ধমক-টমকের পর সে যাহা কহিল, তাহার ভাবাৰ্থ এই যে, পূর্বাহ্রেই হেডমাষ্টার মহাশয় আসিয়া চুরি করিয়া দেখা-দেখি করিয়া লিখিতে নিষেধ করিয়া দিয়া গিয়াছিলেন। বৈকুণ্ঠ কিছুক্ষণ নিঃশব্দে দাড়াইয়া কি যেন চিন্তা করিলেন, পরে বলিলেন, কাল থেকে আর তোকে ইস্কুলে যেতে হবে না, আমার সঙ্গে দোকান যাবি। বলিয়া ঘরে ফিরিয়া গিয়া নিজের কাজে মন দিলেন। ইহা একটা মামুলি শাসনমাত্র মনে করিয়া ভবানী তখন কথা কহিলেন না । কিন্তু পরদিন সকাল-বেলা বৈকুণ্ঠ যখন সত্য সত্যই গোকুলকে দোকানে DDBDB DDBDBDB BBBSDBB DD BO DDBD Duu ঘোরতর আপত্তি করিয়া বলিলেন, যে কথা নয়, সেই কথা ! দুধের ছেলে যাবে তোমার দোকান করতে ? সে হবে নাআমি বেঁচে থাকতে আমার গোকুলকে পড়া ছাড়তে দেব না। এমন রাগ ত দেখি নি! বলিয়া গৃহিণী ক্রোধাভরে ছেলেকে টানিয়া লইয়া যাইতেছিলেন, বৈকুণ্ঠ ঈষৎ হাসিয়া কহিলেন, কে রাগ করেছে ছোটবেী ? গৃহিণী কহিলেন, তুমি। আবার কে ? আমাকে রাগ করতে কখনও দেখেচ ? এ তবে তোমার কি রকম কথা শুনি ? ছেলে-বেলা পাশফেল সবাই হয়। তাই বলে ইস্কুল ছাড়িয়ে দেবে ? বৈকুণ্ঠ তখন গোকুলকে অন্যত্র পাঠাইয়া দিয়া হাসিমুখে বলিলেন, ছোটবেী, রাগ আমি করি নি। তোমার বড় ছেলেকে আজ, বড় আহলাদ করেই আমি দোকানে নিয়ে যাচ্ছি। ছোট