পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3. বিনোদ বিষয় পায় নাই, কথাটা প্ৰকাশ পাইবামাত্র পাড়ার দুই-চারিজন গাঁটের পয়সা খরচ করিয়া কলিকাতায় গিয়া খোঁজাখুজি সুরু করিয়া দিল। তখন আর কোন কথাই চাপা। রহিল না । তাহারা ফিরিয়া আসিয়া বিনোদের ব্যাপার নাম ধাম পরিচয় দিয়া একেবারে প্রকাশ করিয়া দিল। কিন্তু আশ্চৰ্য্য এই যে, অকৃতজ্ঞ গোকুল তাঁহাদের এই উপকার স্বীকার করিল না। সে রাগের মাথায় একেবারে ফস করিয়া বলিয়া বসিল, শালারা সব মিথ্যেবাদী। কেবল হিংসে করে এই সব রটাচ্চে । অতিবৃদ্ধ বাড়য্যেমশাই লাঠি ঠক্‌ ঠক্‌ করিয়া আসিয়াই একেবারে কঁাদিতে সুরু করিয়া দিলেন। অনেক কষ্টে কান্না থামিলে বলিলেন, গোকুল রে, আমার হারাণ তিনদিন তিনরাত্রি খায় নি শোয় নি, কেবল কলকাতার গলিতে গলিতে ঘুরে বেড়িয়েচে। পঁচিশ-ত্রিশ টাকা খরচ করে তবে সন্ধান পেয়েচে, কোথায় সে ছোড়া থাকে। এ ঠিকানা বার করা আর কি কারো সাধ্য ছিল । গোকুল তিক্ত কণ্ঠে জবাব দিল, আমি ত কাউকে টাকা খরচ করতে সাধি নি মশাই! বঁড়িয্যে অবাক হইয়া কহিলেন, সে কি গোকুল, আমরা যে তোমাদের আপনার লোক! আর সবাই চুপ করে থাকতে পারে, কিন্তু আমরা পারি। কৈ ? আচ্ছা, যান যান, আপনার কাজে যান। বলিয়া গোকুল