পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈকুণ্ঠের ኳጅማ ܘܓ জানিত। বিশেষতঃ রাগিলে আর তাহার মুখের বাধাবাধন থাকিত না, ইহাও কাহারো অগোচর ছিল না । কিন্তু তাহার আজকালকার কথাবার্তাগুলো বাড়াবাড়িতে দাড়াইতেছে বলিয়া আত্মীয়-পরা সকলেরই মনে হইতে লাগিল । অপরাহ্-বেলায় বাড়িয্যেমশাই দিবানিদ্রা হইতে উঠিয়া হাতমুখ ধুইতেছিল-হঠাৎ গোকুল আসিয়া উপস্থিত হইল। 6नलिन ऊ করিলেও তা সে বড়লোক। সুতরাং ত্যাহার আগমনে বৃদ্ধ ব্যস্তসমস্ত হইয়া উঠিলেন। গোকুল তিনখানি নোট ব্ৰাহ্মণের পায়ের কাছে ধরিয়া দিয়া স্নানমুখে বিনীত কণ্ঠে বলিল, মাষ্টারমশাই, হারাণের সেদিনকার খরচটা দিতে এলুম। থাক থাক, সে জন্যে আর ব্যস্ত কেন দাদা, তোমাদের কতই ত খাচ্চি নিচ্চি। বলিয়া বাড়িয্যেমশাই সে নোট তিনখানি তুলিয়া লইলেন। গোকুলের চোখ দিয়া জল গড়াইয়া পড়িল। উত্তরায়ের প্রান্তে মুছিয়া ফেলিয়া বলিল, কই আজও তা বিনোদ এলো না মাষ্টারমশাই ! হারাণকে সঙ্গে করে আমি একবার उांछ याद । বঁড়িয্যেমশাই তীব্রভাবে সৰ্ব্বাঙ্গ আন্দোলিত করিয়া বলিয়া উঠিলেন, ছিছি। এমন কথা মুখেও এনে না ভাই। সে স্থানে যাবে তুমি, আমার হারাণ থাকতে ? না, না, তা হবে নাআমি কালই তাকে পাঠিয়ে দেব। গোকুল মাথা নাড়িয়া কহিল, না মাষ্টারমশাই, আমি না। গেলে হবে না। সে বড় অভিমানী-শুধু উইলের কথা শুনেই অভিমানে আসচে। না। আমার মুখ থেকে না শুনলে সে আর