পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈকুণ্ঠের উইল 总决 গোকুল এক মিনিটেই সপ্তমে চড়িয়া ধমকাইয়া উঠিল, ছোটবাবু মেঠাই-মণ্ড খায়কে আসত। হ্যায়। কিনা, তাই ব্যাটাদের নবাব ঘোড়া একদণ্ড দানা-পানি না পেলেই মরে যাবে। ' যাও, আভি লে যাও । কোচম্যান প্রভুর মনের ভাব বুঝিতে না পারিয়া সভয়ে সেলাম করিয়া প্ৰস্থান করিল। রসিক চক্ৰবৰ্ত্তী বহুদিনের কৰ্ম্মচারী। এ বাটতে সকলেই তাহাকে সম্মান করিত। সে কহিল, ছোটবাবু এলে গাড়ী ভাড়া করেও আসতে পারবেন। সেজন্য কেন আপনি ব্যস্ত হচ্চেন दgदाबू ? রসিক যে নিকটেই ছিল, গোকুল তাহ দেখে নাই। অপ্ৰতিভ হইয়া কহিল, আমি ব্যস্ত হ’ব সে হতভাগার জন্যে ? তুমি বল কি চক্কোত্তিমশাই ? বাড়িতে মেয়েরা আমন দিবারাত্রি কান্নাকাটি না করলে, আমি ত তাকে বাড়ি ঢুকতেই দিই নে। গোকুল মজুমদার রাগালে বাপের কুপুত্তর-হঁ্যা । রসিকের কিছুই অবিদিত ছিল না। বাটীর মেয়েরা যে বিনোদের আদর্শনে, একটি দিনের জন্যও চোখের জল ফেলে নাই, তাহা সে জানিত । কিন্তু এ লইয়া আর তর্কও করিল না । সমারোহ করিয়া বাপের শ্ৰাদ্ধ হইবে। গোকুল সেজন্য বড় ব্যস্ত। কিন্তু কান দুটা তাহার গাড়ীর চাকার দিকেই পড়িয়ছিল। ঘণ্টা-দুই পরে সে বহু দূরে একটা ভারি গাড়ির আওয়াজ পাইয়া রসিক চক্ৰবৰ্ত্তীকে শুনাইয়া একটা চাকরকে ডাকিয়া কহিল, ওরে এগিয়ে দেখাত রে, আমাদের গাড়ী। কিনা !