পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

及° বৈকুণ্ঠের উইল ঘোড়া দুটোকে হয়রাণ করে মারলে বলে রাগ করে দুটাে কথা বললুম, আর বেটার কি না। সত্যি মনে করে গাড়ী নিয়ে ইষ্টিসানে ফিরে গেল ! গুণধর ভায়ের জন্য আবার গাড়ী পাঠাতে হবে ! সৎমার রাগ হবে বলে ত আর ঘোড়া দুটোকে ফেলা যায় না ! রসিক শুনিতে পাইল, কিন্তু ভাল মন্দ কোন কথাই কহিল না। অনতিকাল পরে খালি গাড়ী ফিরিয়া আসিয়া আস্তাবলে চলিয়া গেল। চাকর আসিয়া সংবাদ দিল। রসিক সম্মুখে ছিল। গোকুল তাহার পানে চাহিয়া কাষ্ঠহাসি হাসিয়া কহিল, তবে ত দুঃখে মরে গেলুম। যা, যা বাড়িতে গিয়ে গিল্পীকে বল গে, তার পাশা-করা ছেলের কীৰ্ত্তি ! কাল পরশু এলে যদি তাকে ফটক পার হতে দিই তা তখন তোরা বলিসা-হাঁ, সে ছেলে গোকুল মজুমদার নয়। একবার যখন বেঁকে বসেছি, তখন স্বয়ং ব্ৰহ্মাবিষ্ণু-মহেশ্বর এসেও যদি তার হয়ে বলে, তবুও মুখ পাবে না তা বলে দিচ্ছি। তুমি মাকে বলে দাও গে চক্কোক্তিমশাই, পৃথিবী ওলট-পালট হয়ে যাবে, তবু গোকুল মজুমদারের কথার নড়াচড় হবে না । সময়ে এলে কিছু পেত ; এখন আর একটি পয়সাও না। বাড়ি ঢুকতেই ত তাকে দেব না। বলিয়া গোকুল হন হন করিয়া ভিতরে চলিয়া গেল। গোকুল কাহার উপরে ক্ৰোধ করিয়া যে অসময়ে আসিয়া সন্ধ্যার পরেই শয্যা গ্ৰহণ করিল, তাহ বাটীর মেয়ের টের পাইল না। দাসী দুধ খাইবার জন্য অনুরোধ করিতে আসিয়া ধমক খাইয়া ফিরিয়া গেল। দোকানের গোমস্তার উপর