পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈকুণ্ঠের উইল Se প্ৰত্যুত্তরে বড়বেী চেচাইল না বটে, কিন্তু আরও একটুখানি সবল-কণ্ঠে স্বামীকে উদ্দেশ করিয়া বলিল, দ্যাখো, যা বলবে আমাকে বল। খামক বাপ তুলে না—আমার বাপ তোমার বাপ একই পদার্থ। ف জবাব দিবার জন্য গোকুলের ঠোঁট কঁাপিতে লাগিল-কিন্তু কথা ফুটিল না। কিন্তু তাহার দুই চক্ষু দিয়া যেন আগুন বাহির হইতে লাগিল । ভবানী এতক্ষণ চুপ করিয়াই ছিলেন। এখন মৃদু তিরস্কারের স্বরে বলিলেন, বৌমা, তোমার কথা ক’বার দরকার কি মা ! যাও, নিজের কাজে যাও। বৌমা কহিল, কথা আমি কোন দিনই কই নে মা। দাসী\ চাকরের মত খাটুতে এসেছি, দিবারাত্রি খেটেই মরি। কিন্তু উনি যে খেতে-শুতে বসতে-আমার চারটি পাশকরা ভাই ; আমার পাঁচটা পাশকরা ভাই করে নাপিয়ে বেড়ান ; কিন্তু ভাই ত বাড়ি এসে মুখু্য বলে একটা কথাও কোন দিন কয় না। ওঁর নিজের লজ্জা-সরম থাকলে কি আর কথা বলবার দরকার হয় ? বলিয়া সে তিলাৰ্দ্ধ অপেক্ষা না করিয়া গুম গুম।। পায়ে অবস্থাটা জানাইয়া দিয়া চলিয়া গেল। তাহার কথা শুনিয়া আজ এতদিন পরে ভবানী স্তম্ভিত হইয়া গেলেন। এতদিন তিনি তাহার বড়বন্ধুটিকে চিনিতে পারেন নাই। এখন চিনিতে পারিয়া তাহার দুঃখ, ক্ষোভ ও শঙ্কার আর जैौभl-oबिजीभ अश्लि न। কিন্তু বড়ুবৌ একেবারে চলিয়া যায় নাই। সে বারান্দার