পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89 বৈকুণ্ঠের উইল চিনতে পারলে ? মুখখানি একেবারে শুকিয়ে গেছে দেখলি না রে ? ঝি ঘােড় নাড়িয়া বলিল, মুখখানি দেখলে চোখে আর জল রাখা যায় না। বড়বাবু! গোকুলের চােখ দিয়া দর দরু করিয়া জল গড়াইয়া পড়িল। উত্তরীয় অঞ্চলে অশ্রু মুছিয়া কহিল, তুই তাকে মানুষ করেছিস হাবুর মা, তুই শুধু তাকে চিনতে পেরেছিস। আহা! চিরটা কাল তার হোসে-খেলে আমোদ-আহ্লাদ করে লেখা-পড়া নিয়েই কেটেচে। কবে এ সব হাঙ্গামা তাকে পোয়াতে হয়েছে, বল দেখি ! আর উইল করে বিষয় দেব না বললেই দেব না ! তার বাপের বিষয় নয় ? কোন শালা আট্‌কায় ? কি করেচে। সে ? চুরি করেচে, ডাকাতি করেচে ? খুন করেচে ? কোন শালা দেখেচে ? তবে কেন বিষয় পাবে না বলা দেখি শুনি ? আইনআদালত নেই ? বিনোদ নালিশ করলে আমাকে যে বাবা বলে অৰ্দ্ধেক বিষয় কড়ায়-গণ্ডায় তাকে চুল চিরে ভাগ করে দিতে হবে তা জানিস। ঝি সায় দিয়া বলিল, তা দিতে হবে বৈ কি বাবু। গোকুল উৎসাহে চােখ-মুখ উদ্দীপ্ত করিয়া কহিল, তবে তাই বল না !! আর এই মা-টী! তুই মেয়েমানুষ, মেয়েমানুষের মত থাক না কেন ? তুই কেন উইল করার মৎলব দিতে গেলি ? এইটে কি তোর মায়ের মত কাজ হ’ল ? ধৰ্ম্ম নেই ? তিনি দেখচেন না ? নিৰ্দোষকে কষ্ট দিলে—তার কাছে তোকে জবাব দিতে হবে না ? আর বিষয়! ভারি বিষয়-আজ-বাদে-কাল