পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈকুণ্ঠের উইল 88 সে যখন হাইকোটের জজ হবে।-সে ত আর কেউ তার আটকাতে পারবে না।--তখন কি করে রাখবি বিষয় ? এ সব ভেবেচিন্তে কাজ করতে হবে না ! এখন স-মানে না দিলে তখন অপমান হয়ে দিতে হবে যে ! হাবুর মা খুসি হইয়া উঠিল। সে বিনোদকে মানুষ করিয়া ছিল--এই সমস্ত উইল টুইল তাহার একেবারে ভালই লাগে নাই ; কহিল, আচ্ছা বড়বাবু, তুমি তাই কেন ছোটবাবুকে ডেকে বল না যে, তোর বিষয়-আশয় ভাই তুই নে। তুমি দিলে তা আর কারু না বলবার যো নেই। কিন্তু এইখানেই ছিল গোকুলের আসল খাটুক। সে খানিকক্ষণ চাহিয়া থাকিয়া কহিল, তবে সবাই যে বলে, আমার দেবার সাধ্যি নেই। বাবার উইল ত রদ করতে পারি। নে হাবুর মা। আমাদের বড়বেীর মামাত ভাই একজন মস্ত মোক্তারসে নাকি তার বোনকে চিঠি লিখেছে, তা হলে জেল খাটুতে হবে। তবে যদি ম রাজী হয়, বড়বেী রাজী হয়, তখন বটে। হাবুর মা ইহার সদুত্তর দিতে না পারিয়া তাহার কাজে ऽख्रिशl cलब्न । গোকুল মুখ ফিরাইতেই দেখিল, হিমু খেলা করিতে যাইতেছে। তাহাকে আদর করিয়া কাছে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিল, তোর কাকা উঠেছে রে ? হিমু ঘাড় কাত করিয়া কহিল, হু, উঠেই তার বসবার ঘরে চলে গেলেন-কারু সঙ্গে কথা কইলেন না। বাটীর একান্তে পথের ধারের একটা ঘরে বিনোদ বসিত।