বৈকুণ্ঠের উইল 89 গিয়ে দেখ গো-সে ঠাণ্ডা মাটীর উপর একলাটি চুপ করে বসে আছে। , সে দেখলে কার না বুক ফেটে যায়, বল ত চক্কোত্তিমশাই ? চক্ৰবৰ্ত্তী দুঃখসূচক কি-একটা কথা অফুট কহিয়া ফৰ্দ লইয়া যাইতেছিল ; গোকুল তাহাকে ফিরাইয়া ডাকিয়া কহিল, আচ্ছা, তুমি ত সমস্তই জান—তাই জিজ্ঞাসা করি, আমি থাকতে বিনোদকে আর এত কষ্ট দেওয়া কেন ? উপোস-তিরেশ কি ওর ওই রোগা দেহতে সহ্যু হবে ? হয় তা বা অসুখ হয়ে পড়বে। আমি বলি-খাওয়া-শোওয়া ওর যেমন অভ্যাস তেমনি চলুক। চক্ৰবৰ্ত্তী নিরুৎসাহীভাবে কহিল, না পারলে - কথাটা গোকুল শেষ করিতেই দিল না। বলিল, পারবে কি করে, তুমিই বল দেখি ? আমাদের এ সব কুলি-মজুরের দেহএতে সব সয় । কিন্তু ওর ত তা নয়। পাঁচ-সাতটা পাশ করে যে দেশের মাথার মণি হয়েচে, তার দেহতে আর আমার দেহতে তুমি তুলনা করে বসলে ? কে আছিস রে ওখানে— ভূতো ? যা ত একবার চাই করে আমাদের ভশ্চায্যিামশাইকে ডেকে আনা। না হয় যত টাকা লাগে-শ্ৰাদ্ধের সময় আমি মূল্য ধরে দেব। তা বলে তা মায়ের পেটের ভাইকে মেরে ফেলতে পারব না। ওকে আমি আলো-চালের হবিষ্যি করিয়ে নিকেশ করতে পারব না, এতে তিনি যাই বলুন। চক্ৰবৰ্ত্তী অত্যন্ত অপ্রতিভ হইয়া সায় দিয়া কহিল, সে ত ঠিক কথা বড়বাবু। তবে কিনা লোকে বলবে
পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫০
অবয়ব