পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ठेवकूक्ष्द्र ऐण সেইখানে চুপ করিয়া দাড়াইয়া থাকিয়া শেষে ধীরে ধীরে চলিয়া গেল । বাহিরে আসিয়াই গোকুল শশব্যস্ত হইয়া উঠিল। ইতিমধ্যে জেলার নূতন ডেপুটি এবং কয়েকজন উকিল-মোক্তার নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন এবং বিনোদ তঁহাদের পার্শ্বে বসিয়া মৃদুকণ্ঠে কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছে। এই সমস্ত বিশিষ্ট ভদ্রলোকদিগের কাছে ছোটভায়ের পরিচয়টা কোন সুযোগে দিয়া ফেলিবার জন্য গোকুল একেবারে ছট্‌ফট্‌ করিতে লাগিল। অথচ বিনোদের সমক্ষে তাহারই চারটে পাশ করার খবর দিবার উপায় ছিল না-সে তাহাতে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিত। সে খানিকক্ষণ এদিক-ওদিক করিয়া হাকিমের সুমুখে আসিয়া একেবারে মাথা ঝু কাইয়া সেলাম করিল এবং একান্ত বিনয়ের সহিত কহিল, এটি আমার ছোটভাই বিনোদ-অনার গ্ৰাজুয়েট । বিনোদ ক্রুদ্ধ-কটাক্ষে বড়ভায়ের মুখের প্রতি চাহিল; কিন্তু গোকুল ভ্ৰক্ষেপও করিল না ; কৃতাঞ্জলি হইয়া কহিল, ”আমার সাতপুরুষের ভাগ্য যে আপনি এসেচেন-বিনোদ, হাকিমের সঙ্গে ইংরিজিতে আলাপ ক’চ্চ না কেন ? ওঁরা হাকিম, হুজুর ; ওঁদের কি বাঙলায় কথা কওয়া সাজো ? পাঁচজনে শুনলেই বা তোমাকে বলবে কি ? আশেপাশের ভদ্রলোকেরা মুখ তুলিয়া চাহিল। ডেপুটিবাবু সন্ধুচিত ও কুষ্ঠিত হইয়া পড়িলেন এবং অসহ্য লজ্জায় বিনোদের