পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ወጽዓ বৈকুণ্ঠের উইল পিতা খুন্সী হইয়া কহিলেন, এই ত আমি চাই মা ! মামলা মকদ্দমা আতি ভয়ানক জিনিস। শোন' নি মা, লোকে গাল দেয় “তোর ঘরে মামলা ঢুকুক’। সেই মামলা এখন তোমাদের ঘরে। আমাদের নাকি বড় পাকা মাথা, তাই সাহস করচি, তোমাদের আমি কিনারায় টেনে তুলে দিয়ে তবে যাব।—এতে আমার নিজের যাই হোক! একটি একটি করে তঁদের গলা টিপে বার করব, তবে আমার নাম বন্দিপাড়ার নিমাই রায়। বলিয়া তিনি মুখের ভাবটা এমন ধারাই করিলেন যে, ওয়াটারলুর লড়াই জিতিয়া ওয়েলিংটনের মুখেও বোধ করি। অত বড় গর্ব প্ৰকাশ পায় নাই। গলা বাড়াইয়া দ্বারের বাহিরে দৃষ্টিনিক্ষেপ করিয়া কহিলেন, মা মনু, এইখানেই আমার হাতে একটু জল দে, মুখটা ধুয়ে ফেলি ; আর বাইরে যাব না। আর আমনি একটু বেরিয়ে দেখ মা, কেউ কোথাও কান পেতে টোতে আছে কি না। বলা যায় না। ত-এ হ’ল শত্রুর পুৱী। মনোরম যথানিৰ্দিষ্ট কৰ্ত্তব্য সমাপন করিয়া স্বস্থানে ফিরিয়া আসিয়া উপবেশন করিল। গোকুল বিহবল বিবৰ্ণ মুখে একবার স্ত্রীর প্রতি, একবার শ্বশুরের প্রতি চাহিতে লাগিল। এতক্ষণ ধরিয়া পিতাপুত্রীতে যত কথা হইল, তাহার একটা বৰ্ণও বুঝিতে পারিল না। এ কাহাদের কথা, কাহার ঘরে মামলা চুকিল, কাহাকে গলা টিপিয়া কে বাহির করিতে চায়, কাহার কি সৰ্ব্বনাশ হইল। -প্রভৃতি ইসারা ইঙ্গিতের বিন্দুমাত্র তাৎপৰ্য্য গ্ৰহণ করিতে না পারিয়া, একেবারে আড়ষ্ট হইয়া উঠিল। নিমাই কহিলেন,