পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈকুণ্ঠের উইল óህ” দাড়িয়ে রইলে কেন বাবাজী, একটু স্থির হয়ে ব’স-দুটাে কথাবাৰ্ত্তী হয়ে যাক। গোকুল সেইখানে বসিয়া পড়িল। তিনি বলিতে লাগিলেন, এই তোমাদের সুসময়। যা করে নিতে পার বাবা, এই বেলা । কিন্তু একটা সর্বনেশে মকদ্দমা যে বাধ্যবে, সেও চোখের উপরই দেখতে পাচ্চি। তা বাধুক, আমি তাতে ভয় খাই নৌ-সে জানে হাটখোলার যদু উকিল আর তারিণী মোক্তার। বন্দিপাড়ার নিমাই রায়ের নাম শুনলে বড় বড় উকিল ব্যারিষ্টার কীেসুলির মুখ শুকিয়ে যায়—তা এ তো এক ফোটা ছোড়ানা হয়। দুপাত ইংরিজিই পড়েছে। গোকুল আর থাকিতে না পারিয়া সভয়ে সবিনয়ে প্রশ্ন করিল, আপনি কার কথা বলচোন ! কাদের মকদ্দমা ? এবার অবাক হইবার পালা-বদিপাড়ার নিমাই রায়ের। প্রশ্ন শুনিয়া তিনি গভীর বিস্ময়ে গোকুলের মুখের দিকে তাকাইয়া রহিলেন । মনোরম ব্যাকুল হইয়া সজোরে বলিয়া উঠিল, দেখলে বাবা, যা বলেছি তাই। জিজ্ঞাসা করচেন কার মকদ্দমা ! তোমার দিব্যি করে বলচি বাবা, এর মত সোজা মানুষ আর ভু-ভারতে নেই। একে যে ঠাকুরপো, ঠকিয়ে সর্বস্য নেবে, সে কি বেশি কথা ? তুমি এসেচ, এই যা ভরসা, নইলে সোমঘচ্ছরের মধ্যে দেখতে পেতে বাবা, তোমার নাতি-নাত কুড়েরা রাস্তায় দাড়িয়েচে । নিমাই নিশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, তাই বটে। তা যাক,