(S বৈকুণ্ঠের উইল আর সে ভয় নেই-আমি এসে পড়েচি। কিন্তু তোমাদের আড়তের ঐ সব চক্কোক্তি-ফক্কোত্তিকে আমি আগে তাড়াব। ওরা সব হচ্চে-বিরের মাসি কনের পিসি, বুঝলে না মা ! ভেতরে ভেতরে যদি না ওরা তোমার বিনোদের দলে যোগ দেয়। ত আমার নামই নিমাই রায় নয়। লোকের ছায়া দেখলে তার মনের কথা বলতে পারি। বলিয়া নিমাই একবার গোকুলের প্ৰতি, একবার কন্যার প্রতি দৃষ্টিপাত করিতে লাগিলেন'। কন্যা তৎক্ষণাৎ সম্মতি দিয়া কহিল, এখা খুনি এখা খুনি। আমি আর জানি নে বাবা, সব জানি। জেনে-শুনেও বোকা হয়ে বসে আছি। তোমার যাকে খুসি রাখি, যাকে খুসি তাড়াও, আমরা কথাটি ক’ব না। al এতক্ষণে গোকুল সমস্তটা বুঝিতে পারিল। তাহার ছোটভাই বিনোদ তাহারই বিরুদ্ধে মকদ্দমা করিতে ষড়যন্ত্র করিতেছে। অথচ ইহারা যখন তাহার সমস্ত অভিসন্ধিই বুঝিয়া ফেলিয়াছে, সে শুধু নির্বোধের মত সেই ছোটভাইকে প্ৰসন্ন করিবার জন্য ক্ৰমাগত তাহার পিছনে পিছনে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। প্রথমটা তাহার ক্রোধের বহিষ্ণ যেন তাহার ব্ৰহ্মরন্ধ ভেদ করিয়া জ্বলিয়া উঠিল ; কিন্তু ঐ একটি মুহুৰ্ত্ত মাত্র। পরীক্ষণেই সমস্ত নিবিয়া গিয়া, নিদারুণ অন্ধকারে তাহার দৃষ্টি, তাহীর বুদ্ধি, তাহার চৈতন্যকে পৰ্য্যন্ত যেন বিপৰ্য্যস্ত করিয়া ফেলিল। তাহার দুই কানের মধ্যে কত লোক যেন ক্ৰমাগত চীৎকার করিতে লাগিল—বিনোদ তাহার নামে আদালতে নালিশ করিয়াছে। DDDBS BDDBBSDD BD DBB DBDB D DBB S
পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৩
অবয়ব