পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓS বৈকুণ্ঠের উইল বিষয়-আশয়, ব্যবসা-বাণিজ্য সব বুঝিয়ে, চুপটি করে বসে বসে শুধু মজা দেখ! আমার কথা ছেড়ে দাও, নইলে আমন পাকা লোক একটি এ-তল্লাটে খুজলে পাবে না। গোকুল কহিল, সে তা জানি মাষ্টারমশাই ; কিন্তু মায়ের অমতে কোন কাজ করতে বাবা যে নিষেধ করে গেছেন । বঁড়িয্যেমশাই বিদ্রুপ করিয়া হাসিয়া বলিলেন, নিষেধ। মা যে তোমার শত্রু হয়ে দাড়াবে, সে কি তোমার বাবা জেনে গিয়েছিলেন ? নিষেধ করলেই তা হ’ল না। নিষেধ। শুনতে গিয়ে কি বিষয়টি খোয়াবে ? তা বল ? গোকুলের তরফে এ সকল” প্রশ্নের জবাব ছিল না ; তাই সে ঘাড় গুজিয়া নিঃশব্দে বসিয়া রহিল। রায়মশাই নেপথ্যে থাকিয়া সমস্তই শুনিতেছিলেন। এবার সদরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং এই দুইজন মহারথীর সমবেত জেরার মুখে গোকুল অকুলে ভাসিয়া গেল। তাহাকে অধোবাদন এবং নিরুত্তর দেখিয়া উভয়েই গ্ৰীত হইলেন এবং তাহার এই সুবুদ্ধির জন্য তাহাকে বারংবার প্রশংসা করিলেন । বঁড়িয্যেমশাই বাটী ফিরিতে উদ্যত হইলে, সফল-মনোরথ রায়মশাই আজ তাহার পদধূলি গ্ৰহণ করিয়া প্ৰণাম করিলেন এবং তিনি সস্নেহে গোকুলের পিঠ চাপড়াইয়া কহিলেন, আমি আশীৰ্বাদ করাচি গোকুল, তুমি যেমন তোমার যথা-সর্বস্ব আমাদের হাতে সাপে দিলে-তোমার তেমনি গায়ে আঁচড়টি পৰ্য্যন্ত আমরা লাগতে দেব না। কি বল রায়মশাই ? রায়মশাই আনন্দে বিনয়ে গদগদ হইয়া কহিলেন, আপনার