পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वडूळेन्द्र खैरेन কোনদিনই প্ৰায় ভাল পড়া বলিতে পারিত না। পরীক্ষার ফল বাসভৱ হইলে, সে মুখখানি মান করিয়া তাহার বিমাতার কাছে আসিয়া কঁাদিয়া ফেলিল । বিমাতা তাহাকে কোলে টানিয়া সস্নেহে মাথায় মুখে হাত বুলাইয়া দিয়া স্নিগ্ধ স্বরে কহিলেন, গোকুল, বেঁচে থাকতে গেলে এমন কতশত দুঃখ সইতে হয় বাবা ! মনের কষ্ট যে ছেলে হাসিমুখে সহ্য ক’রে আবার চেষ্টা করে, সেই ত ছেলের মত ছেলে। কেঁদ না বাবা, আবার মন দিয়ে পড়, আসচে বছর পাশ হবে । ছোটছেলে বিনোদ লাফাইতে লাফাইতে বাড়ি আসিল । সে দাদার চেয়ে বছর-ছায়ের ছোট, তিন-চার ক্লাস নিচেও পড়ে ; কিন্তু সে একেবারে প্রথম হইয়া ডবল প্রমোশন পাইয়াছে। পুত্রের সুসংবাদ শুনিয়া মা তাহাকে কোলে টানিয়া লইলেন এবং পুলকিত চিত্তে অসংখ্য আশীৰ্বাদ করিলেন । সন্ধ্যার পর বৈকুণ্ঠ দোকানের কােজ সারিয়া খাতা বগলে ঘরে আসিয়া উভয় পুত্রের বিবরণ শুনিয়া ভালমন্দ কিছুই বলিলেন না । ছেলেদের ভার তাহদের মায়ের উপর দিয়াই তিনি নিশ্চিন্ত ছিলেন। হাত পা ধুইয়া জল খাইয়া পান চিবাইতে চিবাইতে ধীরে-সুস্থে নিত্যনিয়মিত খাতা দেখিতে বসিয়া গেলেন ।