পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y10 বৈকুণ্ঠের উইল সমস্ত অবগত হইয়া মাকে লক্ষ্য করিয়া কহিল, দাদাকে খবর দিয়ে এর মধ্যে না এনে আমাকে জানালেই তা হত ! *আমার যে এতে অপমান হয় ! ভবানী সমস্ত বুঝিয়াও প্রতিবাদ করিলেন না। চুপ করিয়া রহিলেন। গোকুল ফিরিয়া আসিয়া বিনোদকে দেখিয়াও দেখিল না । কাজকৰ্ম্মের তদারক করিয়া ফিরিতে লাগিল এবং যথাসময়ে ব্ৰাহ্মণভোজন সমাধা হইয়া গেলে, কাহাকেণ্ডু কোন কথা না কহিয়া বাহির হইবার উপক্ৰম করিতেছিল, এমন সময় বঁড়িয্যেমশাই তাহাকে সকলের মধ্যে আহ্বান করিয়া, কহিলেন, বাস ! আজ তিনিও গোকুলের দ্বারা নিমন্ত্রিত হইয়া আসিয়াছিলেন। তাই তাঁহারই টাকায় পরিতোষ পূর্বক আহার করিয়া সে দিনের অপমানের শোধ তুলিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন। মজুমদারদের অনেক অন্নই নাকি তিনি হজম করিয়াছিলেন, তাই নিমাই রায়ের দরুণ সে দিনের লাঞ্ছনাটা ভঁাহাকেই বেশি। বাজিয়াছিল। সর্বসমক্ষে বিনোদকে উদ্দেশ করিয়া চোখ টিপিয়া কহিলেন, বলি ভায়া, দাদার আজকের চালটা টের পেয়েচ ত। কথার ধরণে গোকুল সঙ্কুচিত হইয়া উঠিল। বিনোদ সংক্ষেপে কহিল, না । বঁড়িয্যেমশাই মূহুগভীর হাস্য করিয়া কহিলেন, তবেই দেখাচি মকদ্দমা জিতেচ ! বি-এ, এম-এ পাশ করলে ভাই, আর এটা ঠাওর হ’ল না যে, মাকে হাত করাটাই হচ্চে ষে আজকের চাল। তঁর ওপরই যে মকদ্দমা !