পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈকুণ্ঠের উইল YAN গোকুল চোখ মুখ কালিবর্ণ করিয়া-কখখনো না মাষ্টারমশাই, কখখনো না ! বলিতে বলিতে বেগে প্ৰস্থান করিল। বঁড়িয্যেমশাই চেঁচাইয়া বলিলেন, এখানে ঢুকতে দিয়ে না। ভায়া, সর্বনাশ করে তোমার ছাড়বে। এ কথাটাও গোকুলের কানে পৌঁছিল। বিনোদ লজ্জায় ঘাড় হেঁট করিয়া বসিয়া রহিল। দাদাকে সে যে না চিনিত, তাহা নয়। একটা উদ্দেশ্য লইয়া আর একটা কাজ করা যে তাহার দ্বারা একেবারেই অসম্ভব, তাহাও সে জানিত। তাই বাঁড়িয্যের কথাগুলা শুধু যে সে সম্পূর্ণ অবিশ্বাস করিল। তাহা নয়, এত লোকের সমক্ষে দাদার এই অপমান তাহাকে অত্যন্ত বিধিল । নিমন্ত্রিতেরা বিদায় হইলে বিনোদ ভিতরে গিয়া, দেখিলমা ঘরে দ্বারা দিয়া শুইয়া পড়িয়াছেন । কথাটা যে তঁর কানে গিয়াছে, তাহা কাহাকেও জিজ্ঞাসা না করিয়াই বিনোদ টের পাইল । দোকানের কােজ সারিয়া সন্ধ্যার পর গোকুল নিজের ঘরে ঢুকিয়া দেখিল—সেখানেও একটা বিরাট মুখভারীর অভিনয় চলিতেছে। স্বয়ং রায়মশাই খাটের উপর বসিয়া মুখখানা অতি বিশ্ৰী করিয়া বসিয়া আছেন এবং নিজে মেঝের উপর বসিয়া তাহার কন্যা হিমুকে কাছে লইয়া পিতৃ-মুখের অনুকরণ कgिङgछ । ঘরে ঢুকিতেই রায়মশাই কহিলেন, বাবাজী, নির্বোধের মত