পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yoZ বৈকুণ্ঠের উইল দেশের কৃতবিদ্য যুবকদিগের অনেকেই বিনোদের বন্ধু। সকলেরই পূর্ণ সহানুভুতি বিনোদের উপরে। সেদিন, সকালে র্তাহারা বাহিরের ঘরে বসিয়া মাষ্টারমশাইকে ডাকাইয়া আনিয়া অনেক বাদানুবাদের পরে স্থির করিয়াছিলেন, কথার ফঁাদে গোকুলকে জড়াইতে না পারিলে সুবিধা নাই। গোকুল মূর্ষ। এবং অত্যন্ত নির্বোধি তাহা সকলেই বুঝিয়াছিলেন, সুতরাং তাহাকে উত্তেজিত করিয়া তাহারই মুখের কথায় তাহাকেই জব্দ করিয়া সাক্ষীর সৃষ্টি করা কঠিন হইবে না। কথা ছিল, আগামী রবিবার সকাল-বেলায় দেশের দশজন গণ্যমান্য ভদ্রলোক সঙ্গে করিয়া গোকুলের বাটীতে উপস্থিত হইয়া তাহাকে কথার ফেরে বাধিতেই হইবে । এই প্রসঙ্গে কত তামাসা, কত বিদ্রুপ অনুপস্থিত হতভাগ্য গোকুলের মাথায় বৰ্ষিত হইল ; কে কি বলিবেন এবং করিবেন, সকলেই একে একে তাহার মহাড় দিলেন, শুধু বিনোদ মাথা হেঁট করিয়া নীরবে বসিয়া রহিল। তাহার উৎসাহের অভাব নিজেদের উৎসাহের বাহুল্যে কেত লক্ষ্যই করিলেন না । আজ বিনোদ কাজে বাহির হয় নাই, আহারাদি শেষ করিয়া ঘরে বসিয়াছিল, বেলা একটার সময় হঠাৎ গোকুল-কই রে হাবুর মা, খাওয়া-দাওয়া চুকূল ? বলিয়া প্ৰবেশ করিল। হাবুর মা শশব্যাস্তে বড়বাবুকে আসন পাতিয়া দিয়া কহিল, না বড়ৰাৰু, এখনো শেষ হয় নি। হয় নি ? বলিয়া গোকুল নিজেই আসনটা তুলিয়া আনিয়া রান্নাঘরের দাওয়ায় পাতিল। বসিয়া কহিল, এক গেলাস ঠাণ্ডা