পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈকুণ্ঠের উইল Se জল খাওয়া দিকি হাবুর মা ! তাগাদায় বেরিয়ে এই দুপুর রোদ্দুৱে ঘুরে ঘুরে একেবারে হয়রাণ হয়ে গেছি। মা কইরে ? ভবানী রান্নাঘরেই ছিলেন ; কিন্তু সে দিনের কথা স্মরণ করিয়া বিপুল লজ্জায় হঠাৎ সম্মুখে আসিতেই পারিলেন না। বিনোদ কাজে গিয়াছে, ঘরে নাই-গোকুল ইহাই জানিত। কহিল, মিথ্যে হাবুর মা, সব মিথ্যে ! কলিকাল—আর কি ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম আছে ? বাবা মরবার সময় মাকে আমাকে দিয়ে বললেন, বাবা গোকুল, এই নাও তোমার মা ! আমি ভালমানুষ-নইলে বেন্দার বাপের সাধ্যি কি, সে মাকে আমার জোর করে নিয়ে আসে ? কেন, আমি ছেলে নাই ? ইচ্ছে করি। যদি, এখনি জোর করে নিয়ে যেতে পারি। নে ? বাবার এই হ’ল আসল উইল—তা জানিস হাবুর মা ? শুধু দুকলম लिंथ लिझे ऐशेल श्श न । হাবুর মা চোখ টিপিয়া ইঙ্গিতে জানাইল, বিনোদ ঘরে আছে। গোকুল জলের গেলাসটা রাখিয়া দিয়া জুতা পায়ে দিয়া দ্বিতীয় কথাটি না কহিয়া চলিয়া গেল। রাত্ৰি নটা-দশটার সময় হঠাৎ দোকানের চক্ৰবৰ্ত্তী আসিয়া হাজির। জিজ্ঞাসা করিল, মা, বড়বাবু এখনো বাড়ি যান নিএখান থেকে খেয়ে কখন গেলেন ? ভবানী আশ্চৰ্য্য হইয়া কহিলেন, সে ত এখানে খায় নি। তাগাদার পথে শুধু এক গেলাস জল খেয়ে চলে গেল। চক্ৰবৰ্ত্তী কহিল, এই নাও। আজ বড়বাবুর জন্মতিথি।