পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯১ ৷ মঙ্গল বিধান করেন এবং পুনঃ পুনঃ সমাগম দ্বারা কুশল মাগের সেতু স্বরূপ হন । ১৬। তখন ভগবান বুদ্ধ সরল দৃষ্টিপাত দ্বারা চেীরগণের সমস্ত অমঙ্গল বিনাশ পূর্বক উহাদিগের বিশুদ্ধ মনোভাব বিধান করিয়া দিলেন। ১৭। র্যাহারা নিয়তাত্মা এবং র্যাহাদের অর্থচৰ্য্যা, সমানার্থভাব, ত্যাগ ও প্রিয় বাক্য এই চারিটি বস্তু সংগৃহীত আছে, র্যাহারা সত্ত্বশালী এবং সাহাদের মৈত্র, করুণ, মুদিত ও উপেক্ষ এই চারিটি বিষয় পরিগৃহীত হইয়াছে, যাহার। মহাত্মা এবং সাহাদের চিত্তে কুশলের মূলভূত অলোভ, অদ্বেষ ও অমোহ এই তিনটি বস্তু সততই সংসত্ত রহিয়াছে, র্যাহার দীন শীল ক্ষমা বীৰ্য্য ধ্যান ও প্রজ্ঞা সম্পন্ন ও সততই উপায় প্রণিধি ও জ্ঞানবল দ্বারা লোকের চিত্ত আশ্রয় করিয়াছেন, যাহার লোকগণের পরিত্রাণকাৰ্য্যে মহাবীর, সর্বদা অদ্বয়বাদী, বিদ্যাত্রয়ে উজ্জ্বল ও চণ্ডুবিধ বিমলতাশালী, র্যাহারা (দুঃখজনক অবিদ্যাদি) পঞ্চ স্কন্ধ হইতে বিমুক্ত এবং ঘড়ি,ধ আয়তন ভেদ করিয়াছেন, র্যাহারা সপ্তবিধ বোধির অঙ্গ সম্যক আয়ত্ত করিয়াছেন ও অষ্টাঙ্গ যোগ উপদেশ করেন। যাহার নববিধ আসক্তি বজিত এবং দশবলাত্মা, ঈদৃশ মহাপুরুষ জিনগণের নিকট কাহারও মনোভাব অবিদিত থাকে না । ১৮ – ২৪ । তৎপরে চৌরগণ ভগবানের চরণে নতমস্তক হইলে ভগবান তথাস্তু বলিয়া উহাদের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করিলেন । ২৫ । ভগবানের সন্দর্শনে ক্ষীণপাপ চেীরগণ যথাবিধি ভোজ্যদ্রব্য সমপর্ণ করিলে ভিক্ষুগণপরিবেষ্টিত ভগবান তৎ সমস্ত গ্রহণ করিলেন। ২৬। তৎপরে চৌরগণ প্রণিধান বশতঃ জ্ঞানালোকরূপ শলাকাদ্বার উন্মলিতনয়ন হইয় প্রকাশরুপ বুদ্ধপদ দর্শন করিয়াছিল। ২৭ । চেীরগণ সদ্যঃ প্রবল বৈরাগ্যে পরিপক্ক ও প্রসন্নচিত্ত হইয় প্রব্রজ্যা গ্রহণ করিলেন এবং তদবধি জগতে পূজ্য হইলেন । ২৮ ।