পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| >२२ | করিবামাত্র ঐ অগ্নিগর্ভ খদ (পীঠ ) মঞ্জগুঞ্জিত ভৃঙ্গশোভিত একটা রমণীয় সরোজিনী হইল। ৩৭ ৷ শ্ৰীগুপ্ত ভগবানকে পদ্মাসনে উপবিষ্ট দেখিয়া এবং তাহার দৃষ্টিপাতেই নিষ্পাপ হইয়৷ তদীয় চরণে প্ৰণিপাত পূর্বক বলিয়াছিল। ৩৮। ভগবন, আমি পাপাচারী। আমার এই অপরাধ ক্ষমা করিবেন। মোহান্ধকারে পতিত জনগণের প্রতি সজ্জনগণের অধিকতর করুণা হইয়া থাকে । ৩৯ ৷ অকল্যাণমিত্র প্রমোহ আমাকে যে পাপপথে যাইতে উপদেশ দিয়াছে, একমাত্র আপনার অনুগ্রহই তাহা হইতে পরিত্রাণের উপায় । ৪০ ৷ আমি যে বিষমিশ্রিত বস্তু ভোজন করাইতেছি, তজ্জন্য পশ্চাত্তাপরুপ বিষ আমাতেই সংক্রান্ত হইয়াছে । ৪১ ৷ কৃপানিধি ভগবান শ্রীগুপ্তকে সাশ্রনয়নে এইরূপ কথা বলিতে দেখিয়া ভিক্ষুগণের সম্মুখেই তাহাকে বলিয়াছিলেন। ৪২ ৷ হে সাধে তুমি বিষাদ করিও না। আমরা তোমার প্রতি বিরূপ নহি । ঘোর বৈররুপ বিষকে পরিত্যাগ করায় বিষ আমাদিগকে তাপ দিতে পারে না । ৪৩ ৷ পুরাকালে বারাণসীতে ব্ৰহ্মদত্তনামে এক রাজা ছিলেন । তদীয় পত্নী অনুপম। তাহার প্রাণসম প্রিয় ছিলেন । ৪৪ ৷ একদা অনুপম। নগরোপান্তে বনস্থিত সুবর্ণভাস নামক ময়ুররাজের কেকারব শুনিতে পান । ৪৫ ৷ : তিনি বেণু ও বীণাস্বরসদৃশ ঐ ময়ূরের কণ্ঠধ্বনি শ্রবণ করিয়া কৌতুকাবেশ বশতঃ রাজাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন। ৪৬। রাজা বলিলেন এই বনপ্রান্তে রত্নখচিত পক্ষশালী একটি ময়ূর আছে । উহার মধুর কণ্ঠধ্বনি একযোজন পৰ্য্যন্ত শুনা যায়। ৪৭ ৷