পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ১৪৩ ] ভগবান এই কথা শুনিয়া প্রিয়াবিরহে মোহপ্রাপ্ত নন্দকে কানন হইতে আহবান করাইয়া এ কি বলিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন । ৬১ ৷ নন্দ বলিলেন, ভগবন, সত্যই আমি নিতান্ত কান্তাসক্ত । এই বন ভিক্ষুগণের সম্মত হইলেও আমার মন এখানে রত হইতেছে না । ৬২ ৷ ভগবান জিন নন্দের এইরূপ বাক্য শ্রবণ করিয়া মুখচন্দ্রের কান্তি দ্বারা রাগরূপ পদ্মকে মুদিত করিয়া তাহাকে বলিলেন । ৬৩। হে সাধু, অনুরাগবশতঃ তোমার এরূপ বিপরীত বুদ্ধি হওয়া উচিত নহে। কল্যাণে অভিনিনিষ্ট জনগনের চিত্ত বিঘ্নকর্তৃক আকৃষ্ট হয় না । ৬৪ । কোথায় তুমি যোগাবলম্বন করিয়া বিষয়াভিনিবেশকে তুচ্ছতৃণ জ্ঞানে ত্যাগ করিবে, তাহা না করিয়া এই নিন্দনীয় ক্ষণস্থায়ী সামান্য সুখাস্বাদের জন্য লালায়িত হইতেছ। এই দুষ্পরিহার্য্য কামমার্গ স্বভাবতই কুশলের বিনাশকারী । ইহা প্রেমানন্দের পক্ষে দুঃসহ বন্ধনরজ্জ স্বরূপ । ৬৫ ৷ ভগবান এইরূপে বহুক্ষণ ধরিয়া নন্দকে বৈরাগ্য উপদেশ করিয়া, এই খানেই তোমায় থাকিতে হইবে, এই কথা বলিয়া নিজ কার্য্যে চলিয়া গেলেন । ৬১ ৷ নন্দ এই সময়ই পলাইবার উপযুক্ত বিবেচনা করিয়া মৃন্দরীকে দশন করিবার জন্য অত্যন্ত উৎসুক হইয়া প্রস্থান করিলেন । ৬৭। তিনি বস্তৃক্ষণ ধরিয়া যাইতে যাইতে অনেকগুলি বিহার অতিক্রম করিয়া দ্বারদেশে অতিকষ্টে নগরগামী মার্গ পাইয়াছিলেন। ৬৮। অনন্তর সর্বজ্ঞ ভগবান নন্দকে অনুরাগবশতঃ যাইতে উদ্যত জানিয়া সত্বর তথায় আসিয়া বলিলেন, নন্দ কোথায় যাইতেছ ? ৬৯ ৷