[ టం ! পুরাকালে স্থশৰ্ম্ম নামে এক ব্রাহ্মণ কোথা হইতে একটি মূলক পাইয়া তাহ জননীর নিকট রাখিয়া স্নান করিবার জন্য নদীতটে গিয়াছিল। ৮০ ৷ ইত্যবসরে তাহার মাতা একজন সমাগত পত্রিপাণি প্রত্যেকবুদ্ধকে প্রণাম করিয়া ভক্তিসহকারে ঐ মূলকটি দিয়াছিলেন । ৮১ ৷ অনন্তর সুশৰ্ম্ম। স্নান করিয়া ক্ষুধাবশতঃ শীঘ্ৰ সমাগত হইলেন এবং ভোজনারস্তে জননীর নিকট নিজের মূলকটি চাহিলেন । ৮২ ৷ জননী বলিলেন, হে পুত্র, পুণ্যকৰ্ম্ম অনুমোদন কর, আমি এ মূলক অতিথিকে সমপণ করিয়ছি ; স্ত্ৰ শৰ্ম্ম! মা তার এই কথ শুনিয়াই বাণবিদ্ধের ন্যায় হইয়াছিলেন । ৮৩ ৷ এখনই তোমার অতিথির বিসূচক হউক এবং আমার ঐ মূলকটি উহার কুক্ষি ভেদ করিয়া প্রাণসহ নিৰ্গত হউক । ৮৪ ৷ সুশৰ্ম্ম৷ এইরূপ বকুপার-য্য দ্বারা পাপী হইয়াছিল, এ কারণ তাহার অপর জন্মে শেষে বিসূচিকাই হইয়াছিল । ৮৫ ৷ স্থশৰ্ম্ম পূর্ববকৃত পুণ্যবয়ে প্রসেনজিৎ রূপে জন্ম লাভ করিয়া বিপুল রাজ্যভোগের পর অন্তে বিসূচিকা রোগে ক্ষয়প্রাপ্ত হইয়াছেন । ৮৬ ৷ ংসারপথের পথিকদিগের হস্তস্থিত পাথেয়স্বরূপ এই সকল শুভাশুভ কৰ্ম্ম ভোগের জন্য উপস্থিত হয় । ৮৭ ৷ রাজা ভগবানের এইরূপ যথার্থ ও হিতকর বাক্য শ্রবণ করিয়া ইহাই সত্য মনে মনে স্থির করিলেন এবং ভগবানকে প্রণাম করিয়া প্রস্থান করিলেন । ৮৮ ৷ ইত্যবসরে প্রাপ্তরাজ্য বিরূঢ়ক পুরোহিতপুত্রকর্তৃক শাক্যগণের শক্রতা স্মরিত হইয়া শাক্যকুল ধ্বংসের জন্য উদ্যত হইলেন । ৮৯ ৷
