পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ১৬২ ] বিরূঢ়ক তৎকর্তৃক প্রেরিত হইয়া পুনরায় শাক্যকুল ক্ষয় করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। খলরুপ বায়ু বৈরবহ্নিকে পুনঃপুনঃ প্রজ্বলিত করে । ১১২ ৷ ঘোরতর দুজনের মন্ত্রণায় উত্থাপিত খলস্বভাব রাজগণ ও বেতালগণ কাহার না প্রাণহরণ করে । ১০৩ ৷ তৎপরে গজ ও রথে উদগ্র সৈন্যগণ প্রচলিত হইলে শাক্যগণ রুদ্ধমাৰ্গ হইলেন এবং নগরে মহা সংক্ষোভ উপস্থিত হইল । ১০৪ ৷ তখন শাক্যগণের পক্ষপাতী মহামোদৃগল্যায়ন তাহাদিগকে রক্ষা করিতে উদ্যত হইলে ভগবান বলিলেন । ১০৫ ৷ শাক্যগণের সর্ববপ্রকার কৰ্ম্মদোষ উপস্থিত হইয়াছে । এস্থলে তোমার রক্ষাবিধান আকাশে সেতুবন্ধনের ন্যায় নিস্ফল হইবে । ১০৬। পুরুষগণের শুভ ও অশুভ কৰ্ম্মের বৈভব চিন্তা করিয়া স্থির কর। যায় না । উহা অবাধে আসিতেছে ও যাইতেছে কেহ তাহ রোধ করিতে পারে না । নিজের জন্মস্থানে স্বহস্তে বিন্যস্ত কৰ্ম্মাক্ষর কখনও নিরর্থক হয় না । ১০৭ ৷ মহামোঁদগল্যায়ন ভগবানের এইরূপ বাক্য শ্রবণ করিয়া তাহাকে প্রণাম করিয়া চলিয়া গেলে এবং বিরূঢ়ক নিকটস্থ হইলে শাক্যগণ প্রতিজ্ঞা করিলেন যে আমরা কোনও প্রাণীর হিংসা করিব না। শক্রপ্রেরিত শরগণ আমাদের শরীরে প্রবেশ করুক। ১০৮-১০৯ ৷ শাক্যগণ এইরূপ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইয়া যষ্টি পৰ্য্যন্ত হস্তে গ্রহণ না করিয়া শক্রর উদ্যমে কোনরূপ বাধা দিলেন না এবং স্থিরভাবে বসিয়া রহিলেন । ১১০ ৷ ইত্যবসরে কৰ্ম্মানুরোধে বিদেশগত শাক্যবংশীয় সম্পাক শাক্যগণের প্রতিজ্ঞান্ন কথা কিছুই না জানিয়া তথায় উপস্থিত হইলেন । ১১১ ৷