পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৯ } হাস্যসহকারে বলিয়াছিলেন, অহো ! তুমি এই ভুবনত্ৰয়মধ্যে একমাত্র শাস্তা ভগবান বুদ্ধকেও জান না। ২৮। যে ব্যক্তি সংসারবন্ধনে ভীত ও শরণার্থিগণের শরণ্য ভগবান জিনকে জানে না, সে ইহলোকে কেবল বঞ্চিত হইয়াই রহিয়াছে । ২৯ । যে ব্যক্তি অজ্ঞানসাগরের তরণের উপায়ভূত নিজ আয়ুঃকাল বৃথা ব্যয় করিয়াছে, এতাদৃশ মোহলীন ও বিফলজন্ম ব্যক্তির আবশ্যক কি ? ৩০ । ভগবান গোতমবুদ্ধ শাক্যরাজবংশে উদ্ভূত হইয়াছেন । তিনি অনগারিক এবং অনুত্তর সম্যকুসম্বোধি লাভ করিয়াছেন । ৩১ । পশ্চাৎ তাহারই অনুগ্রহে প্রব্রজিত ও রাগবর্জিত ভিক্ষুগণের সমূহকে সঙ্ঘ বলে। ৩২ ৷ আমি নিজকুশল অভিলাষ করিয়া পুণ্যপণ লাভ আশায় সেই বুদ্ধপ্রমুখ সঙ্ঘকে প্রণয়সহকারে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছি । ৩৩ ৷ অনাথপিণ্ডদ গৃহপতির এইরূপ বাক্য শ্রবণ করিয়া এবং মনে মনে ভাবিতে ভাবিতে বুদ্ধাবলম্বন ভাবেই রাত্রিকালে নিদ্রাগ ত হইয়াছিলেন । ৩৪ ৷ রজনী এক প্রহর অবশিষ্ট থাকিতেই তিনি সমাকৃষ্টবৎ উৎসুক হইয়া এবং প্রভাত হইয়াছে বুঝিয়া পুরদ্বার দিয়া নির্গত হইয়াছিলেন । ৩৫ ৷ তৎপরে শিবিকাদ্বরে গিয়া যেন দেবতা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন এবং মধুস্কন্ধ কর্তৃক নির্দিষ্ট মঙ্গলের পথ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। ৩৬। তৎপরে তিনি ভগবানকে প্রাপ্ত হইয়া তৃষ্ণাৰ্ত্ত ব্যক্তি যেরূপ অমৃত লাভ করিয়া প্রমুদিত হয়, তদ্রুপ অনুপম প্রমেদে পরমসুখী হইয়াছিলেন । ৩৭ ৷ পথিকজন যেরূপ ছায়াতরু পাইয় গত সন্তাপ হয় এবং বিশ্রান্তি