পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ২৬৯ | অসিত মুনি এই কথা বলিয়া এবং রাজাকে আমন্ত্ৰণ করিয়া আকাশমার্গে তপোবনে গমনপূর্বক মন স্থপ্রসন্ন করিয়া দেহত্যাগের বিষয় ভাবিয়ছিলেন । ৪৭ ৷ নারদ শেষসময়ে তাহার নিকট উপদেশ পাইবার জন্য প্রার্থন করিলে, তিনি বলিয়াছিলেন, বৎস! এই কুমার তোমাকে মোক্ষ উপদেশ করিবেন । ৪৮ । এই রাজপুত্র হইতে অবিনশ্বর মোক্ষকথা লাভ করিয়া ভবসাগর উত্তীর্ণ হইবে । এই কথা বলিয়া তিনি দেহত্যাগ করিয়াছিলেন । ৪৯ । নারদ তাহার শরীরের সৎকার করিয়া সিদ্ধিলাভের জন্য বারাণসীতে গমনপূর্বক কাত্যায়ন নাম প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। ৫০ । অতঃপর কুমার দিন দিন বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়া সৰ্ব্ববিদ্যায় পারগ হইয়াছিলেন। লিপিপ্রবীণ কুমার নূতন ব্রাহ্মী লিপি স্বষ্টি করিয়াছিলেন । ৫১ ৷ অযুত নাগভুল্য বলবান কুমার জগতে খ্যাতি লাভ করিলে বৈশালিকগণ ইহার সন্তোষের জন্য একটা মত্তহস্তী পাঠাইয়৷ দিয়াছিলেন । ৫২ ৷ ইনি চক্রবর্তী হইবেন এবং এই হস্তীট উপঢৌকন পাইয়াছেন। এই কথা শুনিয়া বিদ্বেষবশতঃ দেবদত্ত সেই মহাগজটিকে হত্য করিয়াছিল । ৫৩ ৷ নন্দ ভূমিপতিত সেই মহাগজটাকে সপ্তপদমাত্র আকর্ষণ করিতে পারিয়াছিল। কিন্তু কুমার উহাকে উৎক্ষিপ্ত করিয়া প্রাচীরের বাহিরে ফেলিয়া দিয়াছিলেন। ৫৪ ৷ কুমার একটা বাণদ্বারা সপ্ততাল ভেদ করিয়া মহীতল ভেদ করিয়াছিলেন । ছেদ্য, ভেদ্য, অস্ত্র ও শস্ত্রবিদ্যায় তিনিই প্রাধান্য লাভ করিয়াছিলেন । ৫৫ ৷