পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৯ } ভাগ্যবলে আমি বধ্যসপের চিহ্নভূত রক্তবস্ত্র বিনাযত্নেষ্ট পাইয়াছি। অতএব এক্ষণে অামি ভুজঙ্গভুক্‌ গরুড়ের নির্দিষ্ট শিলায় গমন করি । ১৩৫ ৷ রাজকুমার মনে মনে এইরূপ স্থির করির চূড়ামণির ন্যায় প্রদীপ্ত রশ্মিশালী পট্টবস্ত্র মস্তকে নিহিত করিয়৷ উত্তরীয় বস্ত্র পরিত্যাগপূর্বক তাক্ষ শিলায় গমন করিলেন। ১৩৬ ৷ কুমার, ভূজঙ্গগণের শোণিত ও বসালিপ্ত সেই তাক্ষ শিলায় গমন করিয়া দেহের উপরিভাগ আচ্ছাদনপূর্বক গরুড়ের আগমন প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন । ১৩৭ ৷ অনন্তর কাঞ্চনদ্রবের দ্যায় উদ্দীপ্ত ও তড়িৎপুঞ্জের দ্যায় প্রচণ্ড এক জ্যোতি সমুদিত হইল। তাহাতে আকাশমণ্ডল বাড়বানলোদগান্ধী সমুদ্রজলের ন্যায় শোভা ধারণ করিয়াছিল । ১৩৮ ৷৷ * অনস্তর স্বৰ্য্যকিরণক্রোন্ত সুবর্ণাচলের হ্যায় উজ্জ্বলাকার পক্ষীন্দ্র গরুড় পক্ষদ্বয়ের আস্ফোটন দ্বার সমুদ্রজল আলোড়িত করিয়া দৃষ্টপথে আরূঢ় হইলেন। তাহার আগমন বেগজনিত প্রবলবা তায় পৰ্ব্বত হইতে প্রকাও প্রকাও বৃক্ষ সশবে অবনীপৃষ্ঠে পতিত হওয়ায় পৃথিবী যেন চকিত ও ব্যাকুল হইয়াছেন বোধ হইল। ১৩৯ ৷ অনস্তর গরুড় স্থিরবিগ্রহ রাজকুমারের পৃষ্ঠদেশে বঞ্জসদৃশ কঠিন নখাগ্রদ্বারা প্রহার করিয়া তাহার উপরে পতিত হইলেন । বোধ হইল যেন পৰ্ব্বতগাত্রে একটা বজপাত হইল । ১৪০ ৷ কুমার গরুড়কর্তৃক ক্ষতবিক্ষত হইয়াও পরের প্রাণরক্ষাজনিত হর্ষবশাখ পুলকিতগাত্র হইয়া মনে মনে ভাবিতে লাগিলেন যে এইরূপ দুঃখাৰ্ত্ত ব্যক্তির রক্ষার উপযোগী যেন আমার দেহ সততই হয় । ১৪১ ৷ রাজকুমার বজ্ৰনিৰ্ঘোষসদৃশ ঘোর শব্দ সহকারে গরুড়ের তুণ্ডাঘাতে বিদারিত .হইলেও নিশ্চল ও দৃঢ়ভাবেই ছিলেন । তদর্শনে গরুড় অতিশয় বিস্ময়ান্বিত হইয়। এ ভুজঙ্গটা কে তাহ জানিবার জন্ত ইচ্ছুক হইয়াছিলেন। ১৪২ ৷ অনন্তর গরুড় প্রচণ্ডমাৰ্ত্তণ্ডসদৃশ কপিলবর্ণ বিপুল তেজঃপুঞ্জার দিয়ুখ পিঞ্জরিত করিয়া আকাশে লম্ফ প্রদান করতঃ রাজকুমারের মস্তক হইতে মণিটা উৎপাটন করিলেন। উহার অরুণবর্ণ কিরণজাল রক্তপ্রবাহের ন্যায় বোধ श्झांझिल । »8७ ॥